ছোটোবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি প্রতিদিন একই সময় ঘুমোতে যাওয়া উচিৎ, ঘড়ি ধরে ওঠা উচিৎ ঘুম থেকে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ম অনেক ক্ষেত্রেই মেনে চলতে পারেন না সবাই। কোনোদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়, আবার কোনোদিন সহজে ঘুম হয় না। তবে এই ঘুম আসা এবং না আসার সঙ্গেই যে জড়িয়ে আছে চাঁদের গতিবিধিও, এমন কথা শুনলে অবাক লাগে। সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় তেমনই অবাক করা তত্ত্ব নিয়ে হাজির হলেন বিজ্ঞানীরা।
সাধারণত মানুষের জৈবঘড়ির উপর সূর্যের আলোর প্রভাবই আলোচনা করা হয়। তবে চাঁদের আলোও যে একইভাবে আমাদের শরীরকে প্রভাবিত করে, এবার সেকথাই প্রমাণ করলেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি মানুষের জীবনযাত্রার উপর চাঁদের তেমন প্রভাব না থাকলেও শরীরে প্রভাব চলতেই থাকে। আর তাই দেখা গিয়েছে, গ্রামের এবং শহরের মানুষের শরীরে এই প্রভাবে খুব একটা হেরফের হয় না। এমনকি এও দেখা গিয়েছে, রাতের পরের চাঁদের আলোর চেয়ে সন্ধ্যার দিকের চাঁদের আলোই বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। আর ঠিক সেই কারণেই পূর্ণিমার সময় ঘুমের দৈর্ঘ্য কমে যায়, আবার অমাবস্যার আশেপাশে সেই দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়।
তবে পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, এই পার্থক্য কখনোই ২০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টার বেশি হয় না। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজে এই পার্থক্য বোঝা সম্ভব হয় না। কিন্তু ঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে কারণটা বোঝা যায়। চন্দ্রপক্ষের এক-একটা দিন যে মানুষের অভ্যাসকে বদলে দেয়, এমন তথ্য সত্যিই অবাক করে।
Powered by Froala Editor