পশুপাখি ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কুকুর, বিড়াল, খরগোশ বা পাখি বাড়িতে থাকলে তাদের নিয়েই দিন কেটে যায় সকলের। বাড়ির কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের থাকার বাসস্থান থাকলেও সারা বাড়ি জুড়েই অবাধ বিচরণ তাদের। কিন্তু, কেমন হত যদি মানুষের বাড়িতে পোষ্য না থেকে পোষ্যের বাড়িতেই মানুষ থাকত?এমনটাই মনে হবে আপনার, যদি ঢাকার শেখেরটেকে অবস্থিত ফার্মেসি 'ফার্মিসিটি'তে যান। দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম ও সাবিনা রহমান দোকানের সঙ্গে সঙ্গে তদারকি করেন তাঁদের পোষ্য বিড়ালগুলিরও।
একটি দুটি নয়, সর্বসাকুল্যে মোট ৩৯টি বিড়াল ও ৯টি কুকুর পোষেন এই দম্পতি। কুকুররা সবই দেশীয় কুকুর, বিড়ালের মধ্যে দুটি বিদেশি বিড়াল উপহারে পাওয়া। বাবা মা-র কাছ থেকেই প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার পাঠ পাওয়া। আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়লেও আদর যত্নে কমতি নেই পোষ্যগুলির। তাদের খাওয়ানো ও স্নানের দায়িত্ব নিয়েছেন নিজেরাই। তাদের জন্য হয় ভাত, মাছ ও মাংস। এছাড়া বিড়ালদের জন্য আছে ক্যাট ফুড। প্রতিটি প্রাণীই ভ্যাকসিন দেওয়া। এসব করতেই খরচ হয় মাসে ৩০,০০০-এরও বেশি টাকা।
তবে পোষ্যগুলির জন্য কম ঝামেলা পোহাননি সাবিনা। টিনের চাল থেকে বিড়াল উদ্ধার করতে গিয়ে ভেঙেছে পিঠের হাড়। আত্মীয় স্বজনরাও কম কথা শোনাননি। তাদের কাছে সাবিনার স্পষ্ট জবাব, যারা প্রাণী ভালবাসেন না তাঁরা মানুষকেও ভালোবাসতে পারবেন না। অবলা প্রাণীগুলো মানুষের মত বিশ্বাসঘাতকতা করে না, ভালোবাসার বদলে প্রতিদান দেয় শুধুই ভালোবাসা।