পোষ্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দেবেন না, আগলে রাখুন মহামারীতেও

পোষ্য প্রাণীদের থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। এই আতঙ্কে বহু মানুষ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন পোষ্যদের। অতিমারীর প্রথম তরঙ্গে ভারতের নানা প্রান্ত থেকেই এমন অমানবিক খবর শোনা যাচ্ছিল। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রচার কর্মসূচির পরেও পোষ্য বিতারণ বন্ধ হয়নি বলেই জানাচ্ছেন রাঁচির বিরসা এগ্রিকালচারাল ইউনভার্সিটির একদল গবেষক। পাশাপাশি তাঁদের আবেদন, অযথা আতঙ্কিত না হয়ে নিজেরাই পোষ্যদের খেয়াল রাখুন। কারণ মানুষের শরীর থেকে তারা সংক্রমিত হতে পারে। এই মহামারী পরিস্থিতিতে গৃহপালিত পশুদের নিরাপত্তার বিষয়টিও জোর দিয়ে দেখা প্রয়োজন।

বিরসা এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির প্রাণীচিকিৎসা বিভাগের ডিন ডঃ সুশীল প্রসাদের মতে, এখনও অবধি পৃথিবীর কোথাও পোষ্য প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। তবে মানুষের শরীর থেকে অন্যান্য প্রাণীর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু। ভারতেই হরিয়ানার চিড়িয়াখানায় ৮টি সিংহ করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছে। আর বন্য প্রাণীদের থেকে গৃহপালিত পশুদের অনাক্রম্যতা কম হওয়ার কারণে তাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাই তাদেরও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া এবং নিরাপত্তার সঙ্গে রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলেই জানিয়েছেন ডঃ প্রসাদ।

অন্যদিকে অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সদস্য সোমেন মজুমদারের কথায়, এক বছর ধরে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টার পরেও মানুষের মন থেকে আতঙ্ক দূর হয়নি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো কুকুর বা বিড়ালকে ইতস্তত রাস্তায় ঘুরে বেরাতে দেখছেন সমিতির সদস্যরা। আর তাদের ব্যবহার দেখেই বোঝা যায় তারা রাস্তার কুকুর বা বিড়াল নয়। এমনকি বহু মানুষ নিজেরাই এসে সমিতির শেল্টার হাউসে পোষ্য প্রাণীদের রেখে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সোমানবাবু। তবে এরকমভাবে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করলে তাঁদের পক্ষেও আর পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সমস্ত মানুষকেই সচেতনভাবে পরিস্থিতির কথা ভাবতে হবে। মানুষের মতোই শারীরিক দূরত্ব বিধির মধ্যে রাখতে হবে পোষ্যদের। মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় নেই কোনো...

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
মজবুত করতে হবে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, করোনা-মোকাবিলায় নিদান চিকিৎসকদের