রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কী বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে, তার একটা নমুনা দেখা গেছিল ব্রাজিলে। ৫০ কোটিরও বেশি মৌমাছি কীটনাশকের প্রভাবে মারা গিয়েছিল। এবার আরও একটা সমীক্ষা উঠে এল কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাসায়নিকের প্রভাবে বেশ কিছু পরিযায়ী পাখি তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় সময়মত পৌঁছোতে পারছে না। শুধু তাই নয়, এই পাখিদের দেখের ওজনও কমছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
কানাডার সাসকাটচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মার্গারেট এং তাঁর গবেষণায় মূলত উল্লেখ করেছেন হোয়াইট ক্রাউনড স্প্যারোর কথা। ২০১৭ থেকেই তিনি এবং তাঁর দল এই বিষয় গবেষণা করছেন। সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য। নিওনিকটিনয়েড জাতীয় কীটনাশকের অত্যাধিক ব্যবহার এই পাখির স্বভাবের ওপর প্রভাব ফেলেছে। যার ফলে বদলে যাচ্ছে তার নির্দিষ্ট পরিযায়ী স্থানে যাওয়ার সময়। যদি এরকমই চলতে থাকে, তবে পাখিটির অস্তিত্ব সত্যিই সংকটে পড়বে। কারণ, পরিযায়ী পাখিরা একটা নির্দিষ্ট সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়। এই পুরো ব্যাপারটার ওপর দাঁড়িয়ে আছে তার বংশবৃদ্ধি, শারীরবৃত্তীয় কাজ এবং আরও সব কিছু। সেই চক্রটাই নষ্ট হয়ে গেলে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে পাখিগুলি। ইতিমধ্যেই ওজন হ্রাসজনিত নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে এই বিশেষ প্রজাতির চড়ুইদের। এই বছরের গোড়ার দিকেই কীটনাশকের প্রভাবে ব্রাজিলে বিপুল সংখ্যক মৌমাছি মারা গিয়েছিল। তারপর এই সমীক্ষা আবারও আমাদের ভূমিকা, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। এরপরেও কি নিজেদের সংশোধন করব না?