করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। আর ভারতের ক্ষেত্রে তো লকডাউনের প্রথম দিন থেকে উঠে আসছিল পরিযায়ী শ্রমিক এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের দুরাবস্থার কথা। একের পর এক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাছে, এই অচলাবস্থার প্রভাব শুধু অসংগঠিত ক্ষেত্রের উপরেই পড়েনি। বরং সংগঠিত ক্ষেত্রের বেতনভুক কর্মচারীদের অবস্থাও একই রকম।
সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই-র সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে লকডাউন পর্বে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে কর্মহীন হয়েছেন ১ কোটি ৮০ লক্ষ বেতনভুক স্থায়ী কর্মচারী। আর এর মধ্যে শুধু জুলাই মাসেই কাজ হারিয়েছেন ৫০ লক্ষ মানুষ। ফলে এই অর্থনৈতিক অচলাবস্থার শিকার যে শুধু অস্থায়ী কর্মীরা, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়ে যায়।
রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে করোনা সংক্রমণের আগেই দেশের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছিল। এর মধ্যে লকডাউনের প্রভাবে অর্থনীতির মেরুদণ্ডটাই ভেঙে যায়। বহু বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সরকারি ক্ষেত্রেও কর্মী ছাঁটাই এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। আর এর ফলে দেশ জুড়ে বাড়ছে বেকারত্ব। আনলক পর্যায়ে গ্রামীণ এবং অস্থায়ী ক্ষেত্রে আবার কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও স্থায়ী চাকরির ক্ষেত্রে আর সম্ভাবনা এখনই দেখা যাচ্ছে না। আর এর প্রভাব দেশের জিডিপির উপরেও পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
দেশের অর্থনীতিবিদদের মতে স্থায়ী বেতনভুক অর্মচারীর সংখ্যা বাড়ালে তবেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরাও কাজের সুযোগ পাবেন। আর নাহলে এই ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তোলার কোনো সম্ভাবনাই নেই। শুধু কর্মহীন শ্রমিকরাই নয়, এই অবস্থার দায় বহন করতে হবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকেই।
আরও পড়ুন
করোনার জেরে বেহাল মার্কিন অর্থনীতিও, এক সপ্তাহে বেকার ১৩ লক্ষ?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
লকডাউনের ফলে কর্মহীন হাতিরাও, ফিরে চলেছে নিজেদের দেশে