হিমালয়ের ঠিক পাদদেশেই রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। তারসঙ্গে বিগত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমাগত মৌসুমী বায়ু ঢুকছিলই। যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত একটানা চলছিল উত্তরবঙ্গে। আর তার জেরেই তৈরি হল বন্যা পরিস্থিতির। ভাসল উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চল।
উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং। এছাড়াও বৃষ্টির তোড়ে ভাসতে পারে মালদহ এবং দুই দিনাজপুর। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা এবং কালজানি নদীতে জলস্তর প্রায় বিপদসীমা ছুঁয়েছে। বৃষ্টি বজায় থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠতে পারে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে ব্যারেজের জল ছাড়ায় রীতিমতো ফুঁসছে তিস্তা। জলপাইগুড়ির বাংলা পাড়া জাতীয় সড়কের কাছে হয়েছে একাধিক রেনকাট। জলমগ্ন মিলনপল্লী, সুকান্তপল্লী, দিনবাজার সহ বহু এলাকা। কামাখ্যাগুড়িতে বাজারেও হাঁটুজল।
আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় ৩১ নং জাতীয় সড়কের কাছে আগেই ভেঙেছিল সংযোগকারী সেতু। তবে তার ওপরে ডাইভার্সান দিয়েই যান চলাচল করত। বৃষ্টির চোটে তাও এখন জলের তলায়। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে বসেছে ফালাকাটা সংলগ্ন এলাকায়। তেলিপাড়া, বিন্নাগুড়ি অঞ্চলও জলের তলায়। ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন অনেক বাসিন্দাই। প্লাবিত হওয়ায় বেশ কিছু জায়গায় নামাতে হয়েছে নৌকাও। কালজানি নদীতে স্যুইস গেট বন্ধ করে পাম্প লাগিয়ে জল বের করা হচ্ছে চারটি ওয়ার্ডে।
আবহাওয়া দপ্তর এরই মধ্যে পূর্বাভাস দিয়েছে, বৃষ্টি চলতে পারে বৃহস্পতিবার অবধি। যা উত্তরবঙ্গের কাছে অশনিসংকেত। বন্যায় যেমন একদিকে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, তেমনই আশঙ্কা বাড়ছে সংক্রমণের। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়েও...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বন্যায় বিপর্যস্ত অসম, জলমগ্ন ২৫টি জেলা, ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ লক্ষ মানুষ