এসপ্ল্যানেড ট্রাম ডিপোর ভেতরে খানিক এগোলেন। একটু পরেই হাজির হবেন একটা অদ্ভুত জায়গায়। পড়ে আছে রাশি রাশি পরিত্যক্ত টায়ার। সেগুলোর কোনোটা পরিণত হয়েছে বসার জায়গাতে। কোনোটা আবার টেবিলে।
আর এই টায়ার দিয়েই কলকাতার বুকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে গড়ে উঠছে এক অভিনব উদ্যান। টায়ার পার্ক। ধুলো ধোঁয়া ভরা ধর্মতলা পেরিয়ে, বাস ট্রামের বিকট আওয়াজ পৌঁছচ্ছে না পার্কের ভেতরে। কেবল মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে ট্রামের ঘটাং ঘটাং।
কথা হচ্ছিল বাস ডিপোর একজন মেকানিক, মিশ্রজির সঙ্গে। জানালেন, ফেলে দেওয়া টায়ার না পুড়িয়ে কীভাবে সেগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়, সেই ভাবনা থেকেই এই পার্কের পরিকল্পনা। এই পার্কটি ছাড়াও একটি সংরক্ষণশালা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে পরিবহন দপ্তর।
‘টায়ার পার্ক’ খোলার কথা ছিল আগামী সপ্তাহের সোমবার। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পরিবহন দপ্তরের যে আধিকারিকের উপর পার্কের দ্বায়িত্ব ন্যস্ত ছিল, তিনি বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত। সুতরাং অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কিছুদিন।
পার্কের প্রবেশমূল্য দশ টাকা মাত্র। ভেতরে রয়েছে চা-কফির বন্দোবস্ত। সন্ধে হলেই রং ছড়াবে সুদৃশ্য ফোয়ারা। কোনো এক বিকেলে চলেই আসা যায় এখানে। কফি সহযোগে দু'দণ্ড বিশ্রাম বা আড্ডার জন্য এমন জায়গা মধ্য কলকাতায় বিরল।
আরও পড়ুন
অপরিচিত কণ্ঠে হঠাৎ গুনগুন, চলন্ত ট্রামেই নিজের গান শুনতে পেলেন আব্বাসউদ্দিন
ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে এমন কোনো সরকারি উদ্যোগ, ভারতবর্ষে এই প্রথম। কলকাতার, তথা বাংলার ‘টায়ার পার্ক’ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্রশ্নে ভারতের অন্য রাজ্যগুলিকে নিঃসন্দেহে এক নতুন দিশা দেখাবে। আর কলকাতাকে দেখাবে স্বপ্ন। নতুন ঠিকানার, নতুন ভালোবাসার...
Powered by Froala Editor