আগামী বছরের শুরুতেই করোনা প্রতিষেধক আনতে চলেছে ভারতীয় সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেক

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও চলছে করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু  দিয়েছে ভারত বায়োটেক এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সেই তালিকাতেই এবার যুক্ত হল প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেডের নাম। তবে এবারের উদ্যোগ একটু অন্যরকম। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে করোনা ভাইরাসকেই ব্যবহার করতে চান সংস্থার গবেষকরা। আর তাই সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করে ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন তৈরি করছে প্যানাসিয়া বায়োটেক। অর্থাৎ খানিকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো কাজ।

প্যানাসিয়া কোম্পানিকে এই কাজে সাহায্য করছে মার্কিন বায়োটেক সংস্থা রেফানা। দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যে ৫০টি ভ্যাকসিন ফাইল প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় সাফল্য এলে আগামী বছরের শুরুতেই বাজারে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে চলেছে প্যানাসিয়া। এমনকি দেশের সমস্ত মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে স্বল্পমূল্যে এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন সংস্থার আধিকারিকরা। তবে শুধুই ভারতবর্ষ নয়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্কিন সংস্থার সহযোগিতায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও পৌঁছে যাবে ভারতের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন।
 

ভ্যাকসিনের উৎপাদন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ জৈন জানিয়েছেন, অন্যান্য ড্রাগ মডেলের তুলনায় এটি অনেক বেশি নিরাপদ। ভ্যাকসিন তৈরির কাজে কখনোই পূর্ণাঙ্গ ভাইরাস ব্যবহার করা হয় না। এক্ষেত্রেও রোগ সৃষ্টিকারী সারফেস প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে তবেই মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হবে। এর ফলে সংক্রমণের কোনো সম্ভবনা থাকবে না, বরং শরীরের মধ্যে তৈরি হবে অ্যান্টিবডি, যা পরবর্তী সময়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
কনটেনমেন্ট জোনের ৩০ শতাংশই আক্রান্ত করোনায়, জানাল আইসিএমআর