স্বাধীনতা দিবসের দিন সন্ধেবেলায় অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতই এসেছিল খবরটা। মহেন্দ্র সিং ধোনি ঘোষণা করেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরগ্রহণের কথা। কিন্তু দু’দিন পেরিয়ে এসেও ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ইনস্টার সেই পোস্ট বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে পারছে না। মানিয়ে নিতে পারছেন না গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা তীক্ষ্ণ দুটো চোখ আর রাজত্ব করবে না বাইশ গজে। তেমনই মানিয়ে নিতে পারলেন না বসির চাচাও।
মহম্মদ বসির বোজাই। পরিচিত ‘বসির চাচা’ বা ‘শিকাগো চাচা’ নামেই। পাকিস্তানের এই পাগল ক্রিকেটভক্তকে কখনও না কখনও সবাই-ই আমরা দেখেছি টিভির পর্দায়। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে তো বটে। স্পোর্টিং স্পিরিট, খেলার মাধুর্য, সৌন্দর্য, লড়াই। বাইশ গজের যুদ্ধে এটাই শেষ কথা। সেখানে সীমারেখা, বিভেদের কোনো জায়গা নেই। তা বার বার মনে করিয়ে দিতেন বসির চাচা। ভারত-পাকিস্তানের পতাকা জোড়া লাগিয়েই উড়িয়ে দিতেন হাওয়ায়। তবে পাকিস্তানের বাসিন্দা হয়েও ধোনির অন্ধভক্ত ছিলেন তিনি। ধোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ-ও করেছেন বেশ কয়েকবার। ইচ্ছে ছিল ধোনির রাঁচির বাড়ি স্বচক্ষে দেখে আসার।
ধোনি-পাগল ক্রিকেট সমর্থক শেষ অবধি মানতে পারলেন না এই অবসরের সিদ্ধান্ত। রায়নার মতো ‘ক্যাপটেন কুল’-কেই অনুসরণ করলেন তিনি। অবসর নিলেন ক্রিকেটের মাঠ থেকে। জানালেন, ‘ধোনিই যখন নেই, তখন আমারও দর্শকাসনে থাকা অর্থহীন! তাই এই সিদ্ধান্ত...’
দু’দিন পেরিয়ে গিয়েও এখনও ক্ষত শুকায়নি কারোরই। তার মধ্যেই বসির চাচার এই ঘোষণা যেন আরও ট্র্যাজিক করে তুলল ক্রিকেটের আবহাওয়াকে। মিশিয়ে দিল অন্য নস্টালজিয়া। কেরিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরাই হয়েছে। ঝুলিতে যেমন সংযুক্ত হয়েছে বহু সাফল্য, তেমন রয়েছে ব্যর্থতাও। কিন্তু সেই খেলার মাঠ ছাড়িয়েও এভাবেই জিতে চলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যক্তিত্বের ভারে প্রভাবিত করছেন পক্ষ-বিপক্ষের সকলকেই। একজন খেলোয়াড়ের কাছে এর থেকে বড় সাফল্য আর কী-ই বা হতে পারে?
আরও পড়ুন
অবসর ঘোষণা ছিল পূর্বপরিকল্পিত, কিন্তু ধোনি-রায়না কেন বেছে নিলেন ১৫ আগস্টকেই?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, স্বাধীনতা দিবসের দিনেই এল ঘোষণা