আজ থেকে কয়েক হাজার বছর পর, হয়তো চাঁদে নামল ভিনগ্রহীদের স্পেসসিপ। চাঁদের নুড়িপাথরের মাঝে নজর চালাতে চালাতে কী যেন ঝিলিক মেরে উঠল। ভিনগ্রহী অভিযাত্রীদের হাতে ঠেকল একটি আশ্চর্য ধাতব পাত। যার গায়ে খোদাই এক অপূর্ব ছবি। কারা আঁকল ছবিটি? চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা নীল গ্রহের বাসিন্দারা?
কল্পবিজ্ঞানের গল্প? কিন্তু সেই কল্পনায় ভর করেই চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাশূন্যে উড়ান দিচ্ছে ব্রিটিশ শিল্পী সাশা জাফরির (Sacha Jafri) ছবি। শিরোনাম, ‘উই রাইজ টুগেদার উইথ দ্য লাইট অফ দ্য মুন।’ সোনা-আ্যলুমিনিয়ামের একটি মিশ্র ধাতব পাতে ছবিটি খোদাই করেছেন সাশা। যাতে চাঁদের তাপমাত্রা সইতে পারে তাঁর চিত্রকলা (Painting)। বছরের শেষদিকেই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার মহাকাশযান। এবং সেখানেই ঠাঁই পাবে ছবিটি।
একটি ছোট্ট হার্টের মধ্যে কাঠির মতো মানুষরা খেলে বেড়াচ্ছে। তাকে ঘিরে আরো হার্ট ও কিছু ছোটো ছোটো লেখা–সাশার এই চিত্রকল্প আপাতচোখে সরল মনে হলেও, আসলে সেটি মানবজাতির তরফে একটি অর্থপূর্ণ বার্তা বহন করে। ছবিটির রঙিন সংস্করণ নিলামে উঠবে, স্পেসশিপ লঞ্চের সময়। নিলাম চলবে ‘মিশন সাকসেসফুল’ হওয়া অবধি।
এই লুনার মিশনের নেপথ্যে রয়েছে, দুটি এরোস্পেস ফার্ম– স্পেসবিট ও অ্যাস্ট্রোবটিক। অ্যাস্ট্রোবটিক শুরু করতে চলেছে স্পেস-ডেলিভারি সার্ভিস। ভবিষ্যতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি মহাশূন্যে ডেলিভারি দেবে তারা।
আরও পড়ুন
সূর্যের পর এবার কৃত্রিম চাঁদ তৈরির পথে চিন
মহাশূন্যে বা চাঁদে শিল্পকলা পাঠানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ধাতব পাতে ভিনগ্রহীদের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠিয়েছেন কার্ল সাগান। এছাড়া চাঁদে রয়েছে একটি অপূর্ব আ্যলুমিনিয়ামের ভাস্কর্য। আমেরিকা ও রাশিয়ার ‘মহাকাশ-দৌড়ে’ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বহু অভিযাত্রী, তাঁদের মনে রেখেই এই শিল্পকলা ঠাঁই পেয়েছে চাঁদে।
আরও পড়ুন
চাঁদের অক্সিজেনে ১ লক্ষ বছর বাঁচবে মানবজাতি!
তবে এই স্পেস-ডেলিভারি সার্ভিস ক্রমে সর্বজনীন হলে, হয়তো ভিনগ্রহীদের কাছে একদিন পৌঁছতে পারে ‘গীতবিতান’। হয়তো তারাও পৃথিবীবাসীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে উঠতে পারে, ‘আকাশভরা সূর্য তারা…’
আরও পড়ুন
চাঁদের মতো বিশালাকার গহ্বর তৈরি হচ্ছে পৃথিবীতে, উদ্বিগ্ন গবেষকরা
স্বপ্ন দেখতে আর ক্ষতি কী?
Powered by Froala Editor