সাগুনা পদ্ধতিতে অধিক ধানের ফলন মহারাষ্ট্রে

দেশে জলের আকাল বাড়ছে দিনকেদিন। অথচ চাষের জমিতে জল অতি প্রয়োজনীয়। ভারতে হাজার হাজার কৃষক জলের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন প্রতিবছর। এমন পরিস্থিতিতে নজির সৃষ্টী করেছেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। চিরাচরিত কৃষিপদ্ধতিকে বদলে ফেলে, সাগুনা পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করেছেন তাঁরা। আর এতে ফলন তো বাড়ছেই, তার সঙ্গে জলের প্রয়োজনও কমছে। নইলে, ধান চাষের জন্য যে বিপুল পরিমাণ জলের যোগান লাগে, তা তো জানা কথাই!

কিন্তু এই সাগুনা পদ্ধতিটি কী? এতে চাষের জমির ওপর লোহার ফ্রেম দিয়ে প্রথমে গর্ত করা হয়। তারপর সারের সঙ্গে বীজ মিশিয়ে সেই গর্তগুলিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। আর, বৃষ্টির পর মাটি নরম হলে, আগাছা যাতে না জন্মায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন কৃষকরা।

সাগুনা পদ্ধতিতে চাষের ফলে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। পাশাপাশি, ধান উৎপাদনের পর সঙ্গে-সঙ্গে ধানগাছের নাড়াও কেটে ফেলা হয় না। পরবর্তী শস্যের মরসুম এলে, তবেই নাড়া উপড়ানো হয়।

 ধান চাষের পর, গম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও অন্যান্য সবজিও চাষ করা হয় ওই একই জমিতে। টানা পাঁচ থেকে ছ’বছর সাগুনা পদ্ধতিতে চাষ করা যায় একটি জমিতে। এর ফলে যেমন খরচ কমে, তেমনই মাটির ক্ষয়ও কমানো যায়।

এই নতুন পদ্ধতি ইতিমধ্যেই প্রশংসা পেয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের। জলসংকটে যেভাবে হাহাকার দেখা দিয়েছে ভারতের সর্বত্র, তাতে এই জাতীয় পদ্ধতি যে ভবিষ্যৎ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Latest News See More