গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লাখ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন। এই প্যাকেজ কী কী ভাবে কাজে আসবে, কোথায় ব্যবহার করা হবে, সেই সব বিষয় নিয়েই আগামী কয়েকদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আসবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও তাঁর টিম। আজ থেকে শুরু হল সেই বিশেষ ঘোষণা। আজ মূলত এমএসএমই বা ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের ওপর ফোকাস করা হল। ঠিক কী কী বলা হল, দেখে নেওয়া যাক—
১) সমস্ত রকম কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
২) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হল। এর জন্য তিন লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে এমএসএমই প্রকল্পের জন্য। এতে ৪৫ লক্ষ ইউনিট উপকৃত হবে।
৩) চার বছরের জন্য এই ঋণ ঘোষণা করা হল। এর জন্য এক বছর কোনো রকম সুদ দিতে হবে না। তবে ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হলে তবেই এই ঋণ দেওয়া হবে। কোনো গ্যারান্টি ফি লাগবে না।
৪) যে সমস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছে, তাদেরকে ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হল। অন্তত দুই লাখের ওপর শিল্প ইউনিট উপকৃত হবে।
৫) যে সমস্ত এমএসএমই শিল্প নিজের কাজে উন্নতি করছে, নিজেদেরকে আরও বড়ো জায়গায় দেখতে চাইছে; তাদেরকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইকুইটি ইনফিউশন করা হবে।
৬) এতদিন এমএসএমই বা ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে আমাদের মধ্যে। এবার সেই সংজ্ঞা বদল করা হল। ম্যানুফেকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতে এক কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট করলেও এখন সেটা মাইক্রো ইউনিট থাকবে। আগে এর পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ। সার্ভিস আর ম্যানুফেকচারিং ইন্ডাস্ট্রিকে এক গ্রুপে আনা হয়েছে।
৭) সরকারি টেন্ডারে ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত কোনো গ্লোবাল টেন্ডার নয়। বিদেশী শিল্পের জায়গায় দেশের ছোটো ছোটো শিল্পগুলিকে সেখানে নেওয়া হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে যাতে এই শিল্পগুলি সবার কাছে পৌঁছয়, সেই চেষ্টা করা হবে।
৮) লকডাউন ও করোনা-পরিস্থিতির পর ই-কমার্সের ব্যবস্থা করা হবে। এই পুরোটাই হবে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের উন্নতির জন্য। যাতে সব জায়গায় তাদের প্রোডাক্ট পৌঁছে যায়।
৯) সমস্ত ইপিএফ এসটাব্লিশমেন্টকে লিকুইডিটি রিলিফ দেওয়া হবে। আগামী তিন মাসের জন্য সেই সুবিধা বাড়ানো হল। এই সময় ইপিএফের টাকা সরকার দেবে।
১০) সমস্ত বেসরকারি কর্মীদের ১০ শতাংশ ইপিএফ কাটা হবে। এই তিনমাস এমন অবস্থা জারি থাকবে। এর ফলে হাতে বেশি টাকা থাকবে কর্মীদের। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই অঙ্কটা ১২ শতাংশই থাকবে।
১১) এনবিএফসি, মাইক্রো-ফিনান্সের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার কোটি টাকার লিকুইডিটি স্কিম করা হল। এর ফলে সংকট থেকে মুক্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১২) পাওয়ার ডিসট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে ৯০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হল।
১৩) সরকারি ঠিকাদারদের সমস্ত চলতি কাজ শেষের জন্য আরও ৬ মাস সময় অতিরিক্ত দেওয়া হল।
১৪) ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল।
১৫) ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত টিডিএস ও টিসিএস ২৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে। আগে যা কাটা হত, এখন তার ২৫ শতাংশ কমানো হবে। আগামীকাল থেকেই এটি শুরু হবে।