একদিকে ওজোন স্তর সুস্থ হয়ে উঠছে একটু একটু করে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন মেরু অঞ্চলে নতুন ওজোন গহ্বর। দক্ষিণ মেরুবর্তী অঞ্চলে ওজোন স্তরে গহ্বর নতুন কোনো বিষয় নয়। বরং এই গহ্বরের কথাই প্রত্যেকে পড়ে এসেছি প্রাথমিক বা মধ্যশিক্ষায়। কিন্তু এবার উত্তর মেরুতেও দেখা গেল ওজোন স্তরে গহ্বর। যা এখন বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন চিন্তার বিষয়।
জার্মান এরোস্পেস সেন্টার থেকে একদল বিজ্ঞানী সামনে এনেছেন এই তথ্য। কোপারনিকাস সেনটিনেল-৫পি উপগ্রহের তথ্য বিশ্লেষণ করেই চমকে ওঠেন তাঁরা। তথ্যের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় অস্বাভাবিক রকম ক্ষয় হয়েছে উত্তর মেরুর ওজোন স্তরে।
মেরু অঞ্চলে ওজোন স্তরের ক্ষয় দেখা যায় প্রতিবছরই। তবে নতুন চোখে পড়া এই গহ্বরের ক্ষয়ের হার, পূর্ববর্তী ক্ষয়ের থেকে অনেক অনেক বেশি।
জার্মান এরোস্পেস সেন্টারের এক বিজ্ঞানী দিয়েগো লোয়োলা জানান, এখনও পর্যন্ত ওজোন গহ্বরের আয়তন প্রায় ১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। দক্ষিণ মেরুর তুলনায় এর আয়তন অনেকটাই ছোটো। দক্ষিণ মেরুতে গহ্বর দেখা যায় ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। বছরে প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস থাকে এই গর্ত। তিনি আরও জানান, ১৪-ই মার্চের পরে ভয়ঙ্কর হারে কমেছে উত্তরমেরুর ওজোন স্তর। কারণ হিসাবে জানান, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের হিমাঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে আগের থেকে। খারাপ হয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাও। অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় (প্রায় -৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সূর্যালোক এবং ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন ত্বরান্বিত করেছে এই ক্ষয়কে।
গতবছর দক্ষিণমেরুর গহ্বরের আয়তন ছিল ক্ষুদ্রতম। যা আশার আলো দেখিয়েছিল বিজ্ঞানীদের। গত বছরের রেকর্ড অনুযায়ী নাসা জানিয়েছিল, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ ওজোন স্তর সুস্থ হয়ে উঠেছে। এখন সামনে আসে উত্তর গোলার্ধের এই ওজোন গহ্বর নতুন করে চিন্তা বাড়াল বিজ্ঞানীদের।