উৎসবের শেষেই এল বড়ো খবর। শেষ অবধি প্রস্তুত করোনাভাইরাস মোকাবিলার হাতিয়ার। সামনের সপ্তাহেই শুরু হতে পারে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ। তবে এবার আর শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবকদের ওপরে নয়। ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি প্রথম সারির হাসপাতালকে তার জন্যই তৈরি থাকতে নির্দেশ দিল অক্সফোর্ড।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এবং ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড সান-এ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রতিবেদন। উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২ নভেম্বর থেকেই শুরু হবে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার যৌথভাবে প্রস্তুত ভ্যাকসিনের প্রয়োগ। তবে উল্লেখিত হয়নি কত জনকে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন। প্রকাশ্যে আনা হয়নি হাসপাতালের নামও। তবে খুব শীঘ্রই যে সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে যেতে চলেছে এই ভ্যাকসিন, তা নিশ্চিত।
কিছুদিন আগেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে এই ভ্যাকসিনের। এখন শুধুমাত্র চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা। তবে অনুমোদন মেলার পর যাতে সময় নষ্ট না হয়, সেটাই পাখির চোখ অক্সফোর্ডের। তাই আগে থেকেই হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলার ইঙ্গিত দিয়েছে অক্সফোর্ড।
মহামারী ছড়িয়ে পরার পর থেকেই অক্সফোর্ডে শুরু হয়েছিল ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী বাকি সমস্ত গবেষণার থেকেই এগিয়ে ছিল এই ভ্যাকসিন। তবে এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত সাফল্যের আগেই বাজিমাত করে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে রয়েই গেছে বিতর্ক। সারা পৃথিবীতে ততটাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি স্পুটনিক-ভি। বরং অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের ওপরেই ভরসা নিয়ে তাকিয়ে ছিল সাধারণ মানুষ।
এর মধ্যে একবার বন্ধও হয়েছে ট্রায়াল। এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তৈরি হয়েছিল বিরূপ প্রতিক্রিয়াও। তবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আবার নতুন করে শুরু হয়েছিল ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। তার ফলাফলও ছিল ইতিবাচক। অক্সফোর্ড জানিয়েছিল এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বজায় থাকবে এক বছর অবধি। কাজেই নতুন করে আর বলে দেওয়ার দরকার নেই, বাজারে এই ভ্যাকসিন চলে এলে বদলে যাবে সারা পৃথিবীর করোনার মানচিত্রই...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পুজোর দিনগুলিতে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি রাজ্যে, আমরা ওয়াকিবহাল তো?