বিলুপ্তির মুখে ৫০০টিরও বেশি প্রাণী প্রজাতি, সাবধান করে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

যত সময় গেছে, মানব সভ্যতা উন্নত হয়েছে। আর আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই অভূতপূর্ব বিস্ফোরণের ফল ভোগ করছি আমরা সবাই। উন্নয়নের সমস্ত রাস্তা নিয়ে এগোচ্ছই আমরা। সত্যিই কি তাই? তেমনটা বলছেন না বিজ্ঞানীরা। এর ফলে পরিবেশ তো ধ্বংস হচ্ছেই; সেই সঙ্গে বিলুপ্তির মুখে ৫০০-রও বেশি প্রজাতির প্রাণী।

সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেল আন্তর্জাতিক জার্নালে। গবেষকরা বলছেন, স্তন্যপায়ী, উভচর, পাখি, পতঙ্গ, সরীসৃপ— প্রায় সব জায়গা থেকেই প্রাণীরা অবলুপ্তির পথে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের প্রাণী প্রজাতির ওপর নিরলস গবেষণা, তাদের সংখ্যা, জীবনধারণ পর্যবেক্ষণ করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের র্যা ডারে এখনই ৫০০-রও বেশি প্রজাতি রয়েছে, যারা অস্তিত্ব হারানোর মুখে। আর এসবের ফলে পৃথিবীতে নেমে আসতে পারে ‘মাস এক্সটিঙ্কশন’ বা গণ অবলুপ্তি। এই নিয়ে ষষ্ঠবার এমন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে বিশ্ব… 

সুমাত্রান রাইনো, এসপানোলা জায়ান্ট টরটয়েজ, হারলেকুইন ফ্রগ— তালিকা অনেক দীর্ঘ। অনেক প্রজাতির ৯৪ শতাংশই শেষ হয়ে গেছে। গোটা বিশ্ব জুড়েই পরিবেশ ও প্রাণীজগতের এমন অবস্থা। আর এর জন্য বিজ্ঞানীরা দায়ী করছেন আমাদেরই। দায়ী করছেন প্রযুক্তির সর্বগ্রাসী মনোভাবকে। পরিসংখ্যান বলছে, গত শতাব্দীতে ৪০০-র কাছাকাছি প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে এই শতাব্দীর প্রথম কয়েক বছরেই সেই সংখ্যাটা ৫০০ ছাড়িয়ে গেল। একের পর এক জায়গায় বন ধ্বংস করে কারখানা, শহর তৈরি করা, বাঁধ তৈরি করার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রাণীগুলো। তার ওপর চোরাশিকার তো আছেই। সেই সঙ্গে আছে পরিবেশ দূষণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যত দিন যাবে পরিস্থিতি আরও সঙ্গিন হবে। এতে আর কিছুই ওয়, আমরা নিজেরাই নিজেদের কবর খুলছি। এইভাবে চলতে থাকলে পরিবেশের ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তখন সংকটে পড়বে মানব সভ্যতা। 

অবশ্য সেসব ভাবার সময় আছে নাকি? ততক্ষণে আরও একটা বন ধ্বংসের ব্যাপারে শিলমোহর দেওয়া হবে। আরও কয়েকশো প্রাণী মুছে যাবে ডোডো পাখির মতো। তাদের হাহাকার, পরিবেশবিদদের আন্দোলন ঢাকা পড়ে যাবে নগরোন্নয়নের হিংস্র আওয়াজে… 

আরও পড়ুন
অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের খনি থেকে বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরণ, মৃত বিরল গাঙ্গেয় ডলফিন

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১২টি প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন কার্ল জোনস, ৫০ বছরের বিরল কীর্তি