স্বপ্রজাতির বন্ধুকে উদ্ধার করতেই এসেছিল তারা। কথা ছিল মানুষের সাহায্যেই তাকে সুস্থ করে তোলা। ফিরিয়ে দেওয়া সাধারণ জীবন। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী থেকে বন্ধুটিকে তুলে আনতে অক্লান্ত চেষ্টা করে গেছিল। কিন্তু জলে দাঁড়িয়ে থেকেই অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরে কাতরেই মারা গেল সে। বিদায়বেলায় তার গায়ে শেষ স্পর্শ রাখল উদ্ধার করতে আসা কুনকী হাতি দুটি। প্রকাশ্যে এল মানুষের নৃশংসতায় শিকার হওয়া কেরালার হাতিটির উদ্ধারকার্যের মর্মস্পর্শী, হৃদয়বিদারক ভিডিও।
সেদিন ঘটনাটি জানতে পেরেই বন দফতরের কর্মী, আধিকারিক এবং পশুচিকিৎসকরা হাজির হয়েছিলেন হাতিটিকে উদ্ধার করতে। সঙ্গে এনেছিলেন দুটি পোষ্য কুনকী হাতিকে। তাদের সাহায্যেই নদী থেকে তুলে আনার প্রচেষ্টা চলছিল বন্য হাতিটিকে। কিন্তু নদীতে দাঁড়িয়ে থেকেই লড়াই শেষ হয়ে যায় হাতিটির। মৃতদেহ তুলে আনার জন্য তখন দড়ি দিয়ে বাঁধা হচ্ছে তাকে। সেই মুহূর্তে এগিয়ে আসে কুনকী হাতি দুটি। দেখা যায়, তারা শুঁড় দিয়ে বার বার স্পর্শ রাখছে মৃত বন্ধুর গায়ে।
শেষ বিদায় নাকি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন? নাকি চিরঘুমে ডুবে যাওয়া বন্ধুটিকে জাগানোর চেষ্টা? কিংবা নিছকই হাত বুলিয়ে তার যন্ত্রণা লাঘব করার প্রয়াস! জানা নেই। সত্যিই জানা নেই। অবলা প্রাণীদের ভাষা এখনো শিখে উঠতে পারিনি আমরা। যদি সেই পদ্ধতি জানা থাকত, তাহলে হয়তো প্রমাণ দেওয়া যেত স্বজন হারানোর বেদনা কতখানি ছুঁয়ে যায় পশুদের। তা একটুও আলাদা নয় আমাদের থেকে। তাদের ভাষা বুঝলে, অর্থোদ্ধার করা যেত এই সভ্যতার প্রতি নীরব অভিশাপ বাক্যের।
আরও পড়ুন
পরিবেশকে শুশ্রূষা দিল লকডাউন, আবার ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেব না তো আমরা?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মুখের ভেতরে বিস্ফোরণ, গত এপ্রিলেও কেরালায় একইভাবে মারা গিয়েছিল একটি হাতি