দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হাজারের ঘরে পোঁছে গিয়েছে। সেইসঙ্গে পরস্থিতি সামাল দিতে শুরু হয়েছে লকডাউন। অতএব বন্ধ আপনার কর্মক্ষেত্র। আর তাই দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর বাঙালির অভ্যেস মতো একটু তন্দ্রা এসে গিয়েছে। ধরুন এমন সময় আপনার ফোনটা বেজে উঠল। ফোনের ওপাশের ব্যক্তিটি জানালেন তিনি 'করৌনা’ থেকে বলছেন। আপনার আশঙ্কিত মন ততক্ষণে করোনা আর কোরৌনা গোলমাল করে ফেলেছে। ভাবছেন কেউ আপনার সঙ্গে মজা করছে? এমনটাই ভেবেছেন অনেকে। কিন্তু সেই মানুষটি হয়তো সত্যিই কোরৌনা থেকে ফোন করেছিলেন।
আরও পড়ুন
স্প্যানিশ ফ্লু কিংবা বিশ্বযুদ্ধে কাবু হননি, করোনাকেও হারিয়ে দিলেন ১০১ বছরের বৃদ্ধ
আসলে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার একটি গ্রামের নাম কোরৌনা। অন্যান্য গ্রামের মতোই সেখানেও কয়েক ঘর মানুষের বাস। কিন্তু করোনা ভাইরাসের উপদ্রবের সঙ্গে সঙ্গেই বিপাকে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। তাঁদের গ্রামের নামটিই যে এমন। ফলে সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁদের কী করার আছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গ্রামবাসীরা। আর এর মধ্যেই প্রতিটা মুহূর্তে লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশও তাঁদের কথা শুনে সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছেন। অন্য কোনো জায়গার মানুষকে ফোন করলে তাঁরা ফোন রেখে দিচ্ছেন। গ্রামের নামই যে তাঁদের এমন বিপত্তির কারণ হয়ে উঠবে, সেকথা ভাবতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, ৫০০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা টাটা গোষ্ঠীর
পরিস্থিতি এমন যে, লক-ডাউনের অনেক আগে থেকেই এই গ্রামের মানুষরা বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছেন। কখন কোথায় কার সন্দেহ হবে, সেকথা কি বলা যায়? আসলে মানুষের মন যে অতি বিচিত্র। ভয়ের কোনো কারণ না থাকলেও অযথা আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই আতঙ্কই যদি অপর কোনো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়? অন্তত প্রাচীন একটি গ্রামের নামকরণের উপর তো বর্তমান বাসিন্দাদের কিছু করার নেই।