প্রতি ১৫ জনের একজন এসেছেন ভাইরাসের সংস্পর্শে, জানাল আইসিএমআরের সমীক্ষা

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৬২ লক্ষ। তবে গত এক সপ্তাহ টানা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পার করেনি ৯০ হাজারের গণ্ডি। কমেছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। পাশাপাশিই সুস্থতার হার পৌঁছেছে প্রায় ৮৪ শতাংশের কাছে। এই পরিসংখ্যান আপাতভাবে স্বস্তি জোগাচ্ছে খানিকটা। কিন্তু এর গভীরেই অপেক্ষা করছে আরও বড়ো বিপত্তি। তারই সন্ধান দিল আইসিএমআরের দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষা।

মঙ্গলবার প্রকাশিত হল আইসিএমআরের এই সেরো সমীক্ষার ফলাফল। ২১টি রাজ্যের মোট ৭০টি জেলার ওপর ভিত্তি করেই চালানো হয় এই সমীক্ষা। আইসিএমআরের পরিচালক বলরাম ভার্গব জানান, আগস্ট পর্যন্ত ১০ বছরের বেশি বয়সের প্রতি ১৫ জনের মধ্যে একজন সংস্পর্শে এসেছেন ভাইরাসের। অর্থাৎ যার শতকরা পরিমাণ ৬.৬৬ শতাংশ। সেরো-সমীক্ষার এই ফলাফলই নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে চিকিৎসকদের মধ্যে। গত মে মাসের শেষের দিকে আইসিএমআর প্রথম সেরো-সমীক্ষা চালিয়েছিল ভারতে। সেই সময় ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন মাত্র ০.৭৩ শতাংশ। তিন মাসের মধ্যেই এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে চিন্তিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে শহরগুলিই। বিশেষ করে ঘিঞ্জি বসতি সম্পন্ন বস্তিগুলি। সেখানে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রবণতা ১৫ শতাংশেরও বেশি। শহরের অন্যত্র এই হার ৮.২ শতাংশ। ভারতের একটা বড় জনগোষ্ঠীই যে ঝুঁকিতে রয়েছেন, তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই সমীক্ষা। কার্যত অনাক্রম্যতা অর্জনে ঢের দেরি এখনও।

তবে এই অবস্থাতেও দেশে উঠে গেছে অধিকাংশ বিধিনিষেধই। শিথিল করা হয়েছে বিভিন্ন জনসমাবেশের নিষেধাজ্ঞাও। ফলে থেকে যাচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঘোরতর আশঙ্কা। পাশাপাশিই সাধারণের ঢিলেঢালা মানসিকতাও বিপদ বাড়াতে চলেছে দেশের। সামাজিক দূরত্ব বজায় এবং মাস্ক-স্যানিটাইজারের ব্যবহারের উপর জোর দিতে অনুরোধ করেন আইসিএমআরের পরিচালক। বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি এবং গর্ভবতী মহিলাদের প্রতি বিশেষ সতর্কতা নেওয়া দরকার বলেও জানিয়েছেন তিনি। এসবক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবেই বাড়ছে কো-মর্বিডিটির প্রবণতা। এমনটাই জানাচ্ছে আইসিএমআর...

Powered by Froala Editor