জনসংখ্যা কোটির ওপরে, মাত্র ৪টি ভেন্টিলেটর রয়েছে এই ‘গরিব’ দেশে

করোনা মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব একসঙ্গে লড়ছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় স্তব্ধ। ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণ দিয়ে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে নতুন নতুন সংকটের মুখে পড়ছি আমরা। যে ভেন্টিলেটর এই লড়াইয়ের অন্যতম অংশ হিসেবে সবাই জানে, সেটারই সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেক জায়গায়। রোগীর অনুপাতে এই যন্ত্রের সংখ্যা যথেষ্ট কম। কিছু জায়গায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলেও, বেশ কিছু জায়গায় অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ।

করোনা আক্রমণের অন্যতম উপসর্গ ও লক্ষণ হল প্রবল শ্বাসকষ্ট। তার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্যই এই ভেন্টিলেটরের একান্ত প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলিতে এমনিতেই প্রভূত ভেন্টিলেটর রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে উন্নত পরিকাঠামো। কিন্তু অনেক দেশেই অবস্থা খুব একটা ভালো না। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলিতে। সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষিণ সুদানে সমস্ত হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র মিলিয়ে মোট চারটি ভেন্টিলেটর আছে! আর সেখানে জনসংখ্যা প্রায় ১.২ কোটি! তাহলে হিসেব অনুযায়ী, প্রতি তিরিশ লাখ লোকের জন্য মাত্র একটা ভেন্টিলেটর বরাদ্দ সেখানে। এখনও অবধি করোনার থাবা সেখানে বলতে গেলে, পড়েইনি। আক্রান্তের সংখ্যা দশও ছাড়ায়নি। কিন্তু যদি একবার বাড়তে আরম্ভ করে, তাহলে কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে! শুধু দক্ষিণ সুদানই নয়; সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, সিয়েরা লিওনে’র মতো দেশেও সংখ্যাটা কুড়ির কোঠা ছোঁয়নি।

আফ্রিকার বাইরেও অনেক দেশে এরকমই অবস্থা। শুধু ভেন্টিলেটরই নয়, প্রয়োজনীয় ওষুধও রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা আর যোগানের বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে। তবে করোনা তো নয়, অন্যান্য রোগও তো আছে। এই সবকিছুর আক্রমণ থেকে কী করে রক্ষা পাবেন, সেটাই প্রধান চিন্তার। করোনা এক ধাক্কায় আমাদের স্বাস্থ্যের অব্যবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এখন কবে সব ঠিক হবে, কবে সব দিকে নজর দেব আমরা, তারই প্রতীক্ষা।