৮ মার্চ, নারীদিবস। বছরে একটি দিন মহিলাদের জন্য অবারিত সমস্ত সৌধ। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিল ভারতের পুরাতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ইতিহাস তো শুধু পুরুষের তৈরি নয়। তার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে অজস্র নারীর জীবন। তাজমহলের কথাই ধরা যাক। শাহজাহানের এই অমর সৃষ্টির সঙ্গে অক্ষয় হয়ে থেকে গেছে মমতাজ বেগমের নাম। এছাড়াও, বিভিন্ন সময়েই পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে উচ্চারিত হয়েছে এমন নারীর সংখ্যাও তো কম নয়। তাঁরা একদিকে যেমন ঘর-গেরস্থালি সামলেছেন, অপরদিকে চর্চা করে গেছেন শাস্ত্র, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে রাজধর্মনীতি। এই ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে লীলাবতী, উভয়ভারতী বা রাণী পদ্মাবতীর নাম। অথচ আমরা আজও তাঁদের সঠিকভাবে সম্মান করতে শিখেছি কি?
আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকা প্রতিটি সৌধে ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের কাছে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। তবে ৮ মার্চ, নারীদিবসে মহিলাদের জন্য প্রতিটি সৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে এই সংস্থা। এই একটি দিন মহিলাদের জন্য লাগবে না কোনো টিকিট। নির্দিষ্ট কিছু সৌধ নয়, দেশের যে কটি সৌধ এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে আছে, সেই সমস্ত সৌধের জন্যই এই বন্দোবস্ত। শনিবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল এই ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন
ভাঙল অচলায়তন, এখন থেকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে গাইতে পারবেন নারীরাও
একুশ শতকে দাঁড়িয়েও যখন পিতৃতন্ত্রের কাছে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হতে হয় মহিলাদের, নারীদিবস তখন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ অবশ্যই। আর এই দিনটিকে মাথায় রেখে পুরাতত্ত্ব গবেষণা সংস্থার এই উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদ জানানোর মতো। তবে আজকের দিনে সব থেকে বেশি করে দরকার, সচেতনতা গড়ে তোলা। মহিলাদের উপযুক্ত সম্মান দিতে শেখা। শুধু ইতিহাসের নারীদের নয়, আজকের নারীদেরও। আর সেই সচেতনতা গড়ে তোলার কাজে এগিয়ে আসতে হবে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেককেই।