বয়স ১১৭, করোনাকে হারিয়ে ফিরে এলেন ইউরোপের প্রবীণতম মানুষ

করোনা অতিমারী পর্যায়ে সবসময়ই দুশ্চিন্তার মূল কেন্দ্রে ছিলেন বয়স্ক মানুষরা। অনাক্রম্যতার অভাবে তাঁদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে এর মধ্যেই এক ব্যতিক্রমী নজির তৈরি করলেন ফরাসি নান সিস্টার অ্যান্দ্রে। ১১৭ বছর বয়সি অ্যান্দ্রে ইউরোপের সবচেয়ে বরিষ্ঠ মানুষ হিসাবে স্বীকৃত। আর তিনিই করোনা আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে উঠলেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। সিস্টার অ্যান্দ্রের জীবন ফিরে পাওয়ায় উচ্ছসিত অনেকেই।

১৯৬৪ সালে সংসার ত্যাগ করে চার্চের কাজে যোগ দেন লুসি র্যা ন্ডন। আর সেই থেকে তাঁর নাম হয়ে যায় সিস্টার অ্যান্দ্রে। এতদিন ধরে আর্তের সেবা করাই তাঁর কাজ। তাই করোনা পরিস্থিতিতে তাঁকে বারবার আইসোলেশনে থাকতে বলা হলেও তিনি নিজের কাজ না করে থাকতে পারেননি। আর এর ফলেই ঘটে গিয়েছে সংক্রমণ। ১৬ জানুয়ারি তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পরে। তবে অবাক করা বিষয়, ১১৭ বছরের সিস্টার অ্যান্দ্রের শরীরেও কোনো উপসর্গ ফুটে ওঠেনি। ১৬ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছেন অসংখ্য চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী।

অবশেষে করোনাকে হারিয়ে ফিরে এলেন সিস্টার। আর এই ঘটনায় অবাক সকলেই। এতদিন ধরে সবচেয়ে অবাক হয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এক চিকিৎসকের কথায়, নিজের অসুস্থতার কথা যেন কখনও ভাবতেনই না সিস্টার। বরং হাসপাতালের সমস্ত রোগীর পরিচর্যা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, সেদিকেই নজর ছিল সবচেয়ে বেশি। জীবনের এতগুলো বছর তো এভাবেই কাটিয়ে দিয়েছেন। এই মনের জোরই হয়তো তাঁকে সারিয়ে তুলল।

Powered by Froala Editor