মারিয়া ব্র্যানিয়াসের বয়স ১১৩। তাঁর তিন সন্তান, ১১ জন নাতি-নাতনি এবং তাদেরও ১৩ জন সন্তান। আর এই বিরাট পরিবারের অভিভাবক ব্র্যানিয়াস বর্তমানে স্পেনের সবচেয়ে বরিষ্ঠ নাগরিক। তবে এই বয়সেও তিনি করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন। আর স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে।
ব্র্যানিয়াসের জীবনে এমন মহামারী নতুন কিছু নয়। এর ঠিক এক শতাব্দী আগে স্পেনের ফ্লু মহামারী দেখেছেন তিনি। আর তারপর গৃহযুদ্ধ। কিন্তু প্রতিবারই কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে আবার সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন তিনি। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল আবারও। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি তাঁর শরীরে কিছু মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। তারপর হাসপাতালে যেতেই পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। এরপর দীর্ঘ দুমাস আইসোলেশনে থেকে অবশেষে সুস্থ হয়ে উঠলেন তিনি। গত মঙ্গলবার চিকিৎসকরা তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা করেছেন।
১৯০৭ সালে মেক্সিকোতে জন্ম ব্র্যানিয়াসের। তারপরেই আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই সময় তাঁর বাবা সাংবাদিকের কাজ নিয়ে স্পেনে চলে এলে তিনিও সঙ্গে আসেন। তারপর থেকে সেখানেই আছেন। গত ২০ বছর ধরে তাঁর ঠিকানা ওলোট শহরের একটি বৃদ্ধাবাস। তাঁর শরীরে সংক্রমণের খবর জানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে, অনেকেরই ধারণা বয়স্ক মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস তাড়াতাড়ি আক্রমণ করে। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই ৯০ বছরের বেশি বয়সের মানুষরাও সুস্থ হয়ে ফিরে আসছেন। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেন। সেখানে ব্র্যানিয়াসের সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনা রীতিমতো আলোচনার বিষয়।