বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। শরীরও সায় দিচ্ছিল না। অবশেষে মারাই গেল সে। তবে এখানে ‘সে’ কোনো মানুষ নয়। কথা হচ্ছে রীতার ব্যাপারে, যে ভারতের সবথেকে প্রবীণ শিম্পাঞ্জি।
গত মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লির চিড়িয়াখানায় মারা যায় প্রবীণতম এই শিম্পাঞ্জি। রীতার জন্ম অবশ্য ভারতে হয়নি। ১৯৬০ সালে আমস্টারডামে জন্ম হয় এই শিম্পাজির। ১৯৯০ সালে এই দিল্লি চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয় তাকে। তখন থেকেই এইখানে ছিল রীতা। তার সঙ্গে ছিল আরও একজন শিম্পাঞ্জি, নাম ‘মণি’।
চিড়িয়াখানা সূত্র অনুযায়ী, ২০১৫ সালে মণি মারা যাওয়ার পরই একা হয়ে যায় রীতা। তখন থেকেই সক্রিয়তা কমে যাচ্ছিল। বিভিন্ন ফলের রস, দুধ এইসবই প্রিয় ছিল তার। কিন্তু বয়সের ভার ক্রমে বাড়ছিল। ডাক্তারদের মতে, মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের কারণেই সম্ভবত মারা গেছে দেশের প্রবীণতম এই শিম্পাঞ্জি।