ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। তবে শুধুই কি বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা? সরকারের প্রকাশিত নতুন তথ্য বলছে ক্রমেই সংক্রমিত হচ্ছে গ্রিন জোনগুলিও। গত এক সপ্তাহে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা।
গত সপ্তাহে ‘এগিয়ে বাংলা’-র সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে মোট কন্টেনমেন্ট জোন ছিল ১৯০৭টি। তা শুক্রবার বেড়ে দাঁড়াল ২৪২৮-এ। তবে কলকাতার অবস্থা সব থেকে সংকটজনক। শুধু রাজধানীতেই রয়েছে ১৫১২টি কন্টেনমেন্ট জোন। রাজ্যের মোট ৫ হাজারের মতো সক্রিয় আক্রান্তদের মধ্যে কলকাতার বাসিন্দা ২১৭৩। পরিসংখ্যানের নিরিখে এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। সেখানে রয়েছে ২১৯টি কন্টেনমেন্ট জোন।
অন্যদিকে হাওড়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, মালদা, দুই মেদিনীপুর— প্রায় সব জায়গাতেই বেড়েছে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। সংখ্যা বেড়েছে উত্তরবঙ্গেও। যা নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের।
এখনো অবধি রাজ্যে মৃত্যুর হয়েছে ৫১৮ জনের। তবে সুস্থতার হার মোট আক্রান্তের ৫৫ শতাংশ। ফলে সামান্য হলেও আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকরা। প্রশাসনের দাবি হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ার কারণ অপরিকল্পিতভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা। রাজ্যে ফেরত আসা অনেক শ্রমিকের শরীরেই মিলেছে ভাইরাস। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাদ দিলেও সার্বিকভাবে যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই কোনো। বর্তমানে আক্রান্তের হার দৈনিক প্রায় চারশো। তার মধ্যেই শিথিল হয়েছে লকডাউন। সচল করা হয়েছে যান-বাহন, অফিস-আদালত, দোকান, শপিং মল এবং অন্যান্য প্রায় সব ক্ষেত্রই। এখন দেখার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুনরায় লকডাউন নাকি বিকল্প কোনো পদ্ধতি, কোন দিকে হাঁটে রাজ্য...
আরও পড়ুন
মোঘল সম্রাটের পর করোনা; এবারের মতো স্থগিত পুরীর রথযাত্রা, নির্দেশ কোর্টের
Powered by Froala Editor