নব্বইয়ের দশক থেকে একবিংশ শতকের শূন্য দশক— ক্রিকেটের দুনিয়া একের পর এক নক্ষত্রকে দেখেছে এই সময়। এক একটা বিভাগে এক একজন স্টার। প্রত্যেকেই নিজের দিনে দৈত্য! সেরকমই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন ডানহাতি পেসার। শুরুর দিন থেকেই ছিলেন ব্যতিক্রমী। কারণ তাঁর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দলে কোনো কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় আসেননি। হ্যাঁ, মাখায়া এনতিনি-র কথাই হচ্ছে। সম্প্রতি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর কথা বললেন তিনি। ফিরে গেলেন পুরনো দিনগুলোর প্রসঙ্গে; যেখানে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তে অপমানিত হতে হত…
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেপোলিসে পুলিশের অত্যাচারে খুন হতে হয়েছিল জর্জ ফ্লয়েডকে। এভাবেই আরও বহু কৃষ্ণাঙ্গ মারা গিয়েছিলেন বিশ্ব জুড়ে। বর্ণবৈষম্যের মতো ঘৃণ্য অপরাধ আজও যে এই পৃথিবীতে রয়েছে, এমন ঘটনাই তার প্রমাণ হয়ে রয়ে গেছে। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেই ব্যাপারটাকেই তুলে আনলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া ক্রিকেটার এনতিনি। তিনি জানালেন, নিজের ক্রিকেট জীবনেও বারংবার বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েছেন তিনি। যেহেতু তিনিই একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার ছিলেন, তাই প্রায় একঘরে করেই রাখা হত তাঁকে। খেতে যাওয়ার সময়ও ডাকা হত না। বাকিরা তাঁর সামনেই বিভিন্ন প্ল্যান করত, ঘুরতে যেত; অথচ তিনিই থাকতেন ব্রাত্য। দিনের শেষে তাঁরাই আবার একই জার্সি পরে, এক দলের হয়ে খেলতেন।
অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলকের সঙ্গে ৩০০ উইকেটের ক্লাবের মেম্বার হয়েছেন যিনি, তিনিই এমন বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন। মাখায়া এনতিনি দক্ষিণ আফ্রিকার আরও হাজার হাজার তরুণের ইন্সপিরেশন। তাঁকে সামনে রেখেই উঠে এসেছেন আজকের পেসাররা। আর আজ তাঁর কাহিনি সামনে আসার পরই থমকে গেছে সবটা। জর্জ ফ্লয়েডের কাহিনি যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; সমাজের ছোটো বড়ো সমস্ত জায়গাতেই এর শিকড় ছড়িয়ে আছে সেটাই উঠে আসছে একের পর এক ঘটনায়। আর আমরা স্তব্ধ হয়ে শুনে যাচ্ছি সেসব…
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
হাঁটু মুড়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রিকেটারদের, অভিনব মুহূর্তের সাক্ষী ইংল্যান্ড