সমগ্র বিশ্বে পুষ্টিহীনতা এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বয়স্ক ব্যক্তিরা ট্রাকোমা এবং ছানিজনিত সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন ধরনের রোগ কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে বিভিন্ন বয়সের মানুষও অন্ধত্বে আক্রান্ত হন। কখনও কখনও নবজাতক শিশু অন্ধ হয়েই পৃথিবীর রূপ দর্শন থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে অন্ধত্বের শিকার প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন মানুষ।
ব্রেনপোর্ট টেকনোলজি এই সমস্ত অন্ধ মানুষদের তাদের জিভের দিয়ে দেখতে সাহায্য করবে, সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এল এমনই তথ্য।
২০০১ সালে এরিক উইহেনমেয়ার অন্ধত্বের শিকার হয়েও মাউন্ট এভারেস্টে পা রেখেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্রেনপোর্টের সহায়তায় তিনি এখন তাঁর পরিবারকে দেখতে পান, এমনকি তাঁর ছেলের হাসিও তিনি চোখ ভরে উপভোগ করেন।
ব্রেনপোর্ট এমন একধরণের টেকনোলজি, যা জিভের সাহায্যে অন্ধদের দেখতে সুবিধে করে দেয়। এটি একটি তারযুক্ত ভিডিও ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল তথ্যকে জিভের মধ্যে তড়িৎ উত্তেজনায় রূপান্তরিত করে। এর সাহায্যে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন বস্তু বা প্রাণীর আকৃতি, চলন, গমন অনুভব করতে পারে। অনেকে মনে করেন, জিভই তাঁদের একমাত্র দৃষ্টিশক্তি।
বিজ্ঞানের এ-ধরণের উন্নতি আগামী দিনে মানুষের বিভিন্ন অঙ্গের জটিলতা কাটাবে বলেই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।