একদিকে খুলতে চলেছে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস, অন্যদিকে লকডাউন শিথিল হয়ে আসার ফলে ক্রমশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মানুষ। সমস্যা কেবল একটি জায়গাতেই। এখনও অবধি যানবাহন সমস্যার সমাধান হল না। বেসরকারি বাসের অভাব পূরণ করতে ব্যর্থ সরকারি বাসগুলি। আবার অটো বা ট্যাক্সির মতো জনপ্রিয় পরিবহন ব্যবস্থাতেও দুইয়ের বেশি যাত্রী না তোলার নিষেধাজ্ঞা। স্বাভাবিক অজুহাতেই ডবল ভাড়া হাঁকছেন অটো চালকরা। তবে এবার সম্ভবত সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। অন্তত রাজ্য পরিবহন দপ্তরের নির্দেশিকায় সেই সুর স্পষ্ট।
যাত্রী হয়রানি কমাতে আনলক ফেজ ওয়ানের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। নির্দেশিকায় ট্যাক্সি বা অটো বিষয়ে স্পষ্ট কিছু নির্দেশ না থাকলেও তাতে বলা হয়েছে প্রত্যেক যানবাহন স্বাভাবিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এর আগেই বাসে যতগুলি সিট ততগুলি যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তখনই অটো চালকরা অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁরা কেন চারজন যাত্রী তুলতে পারবেন না! বর্তমান নির্দেশিকায় সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
এদিকে বেসরকারি বাস মালিকরাও পরিবহনের জন্য সুর নরম করেছেন। মঙ্গলবার পরিবহন দপ্তরে একাধিক দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বাস মালিকরা। সূত্রের খবর, সরকার বেশ কিছু দাবি ন্যায্য বলে মেনে নিয়েছেন। এবং সেই সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা জারি হতে পারে। ফলে খুব শিগগিরই রাস্তায় বেসরকারি বাস নামতে চলেছে। তবে এখনও অবধি চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীরা।
এদিকে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা বাস চালানোর বিষয়টা ভেবে দেখছেন। অটো এবং ট্যাক্সি ইউনিয়নের কর্তারাও জানিয়েছেন তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে যান চালাতে প্রস্তুত। ফলে দীর্ঘ লকডাউনের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে শহরের ব্যস্ত জীবন। যদিও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় এখনও অবধি মফঃস্বলের অনেক যাত্রীই সমস্যায় আছেন। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন স্বাভাবিক নিয়মে ফিরলে যাত্রীরা যে অনেকটাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
Powered by Froala Editor