চাঁদের পাহাড় থেকে ট্রেজার আইল্যান্ড। দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প রয়েছে পৃথিবীর নানা ভাষার সাহিত্যে। চিরকালই সেসব গল্প মানুষের মনে ধরেছে, এক অসীম উত্তেজনা গোগ্রাসে সেসব গল্প গিলেছে বইপোকারা। কিন্তু বাস্তবে সেসব গল্পগুলো অনেক কঠিন, বহু দুর্গম পথ পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছেছেন নানা অভিযাত্রীরা। তাতেও সফল হননা সবাই, কেউ কেউ যাত্রা শেষে ফিরে আসেন, কেউ কেউ আর কোনোদিন ফেরেনই না। এরকমই এক দুঃসাহসিক অভিযাত্রী মাইক হর্ন। ৫৩ বছর বয়সি এই মানুষটি সম্প্রতি উত্তর মেরুতে পৌঁছে অসাধ্য সাধন করলেন।
পায়ে হেঁটেই উত্তর মেরুতে পৌঁছেছেন মাইক। ৮৫ ডিগ্রি অক্ষাংশ থেকে, আলাস্কার দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। বরফ ঠিকমতো না জমায়, স্লেজ টেনে নিয়েই পাড়ি দেন গোটা পথ। স্লেজেরও ওজন কম নয়, ২০০ কেজি। মাইকের পরবর্তী লক্ষ্য ইউরোপ ভূখণ্ড। প্রসঙ্গত, এর আগে দক্ষিণ মেরু ওরফে আন্টার্কটিকাও পেরিয়েছিলেন তাঁরা।
স্যোশাল মিডিয়াতে তিনি তাঁর অভিযানের সাফল্য বিবরণ করতে গিয়ে মাইক জানিয়েছেন, জীবনে কোনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে তার একটি স্পষ্ট কারণ থাকা দরকার। নিজের কাছে সেই কারণটি স্পষ্ট মনে হলে তখনই বেরিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিতে হয়।
দুঃসাহসিক অভিযানের পাশাপাশি মাইক তাঁর জীবনে বেশ কিছু বইও লিখেছেন। মাইক মনে করেন, সমস্ত ক্লান্তি অবসাদ শেষে অভিযানের আনন্দ চিরকাল মনে রেখে দেয় মানুষ। তাই ফিরে আসার পথ হয়ে আসে খুব ছোট। উত্তর মেরু থেকে ঘরে ফিরে আসার পথের দূরত্ব ক্রমশ কমে আসে। জীবনকে বাজি রেখে যে সব মানুষ নিজেদের আনন্দে বিভিন্ন দুঃসাহসী অভিযান সম্পন্ন করেন, তাঁদের কুর্নিশ জানাতে হয়।