এক-একটির দাম ১০০০ টাকা! কী বিশেষত্ব এই আমের?

গ্রীষ্মকাল তো প্রায় শেষ হতে চলল। এই সময় মন তো একটু আম খেতে চাইবেই। তবে অতিমারীর কারণে অনেকেই বাজারে যেতে পারছেন না, ফলে আমের স্বাদ এখনও অনেকে পাননি। তাতে অবশ্য হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ মধ্যপ্রদেশের আম-চাষিরা নিয়ে এসেছে অনলাইন বিনিময়ের সুযোগ। আর সে আম যেমন তেমন আম নয়, একেবারে নূর-জাহান। মানে আমের প্রজাতিটির নামই ‘নূর-জাহান’। নামেও যেমন বাদশাহি, দামেও অবশ্য তাই। এক একটি আমের দামই হয়তো পড়ে যাবে ১ হাজার টাকা। অবাক হচ্ছেন? এবছর এমন দামেই বিক্রি হচ্ছে নূর-জাহান আম। আর ইতিমধ্যে প্রতিটা আম বিক্রিও হয়ে গিয়েছে।

তবে এই আমের আকাশছোঁয়া দাম একেবারেই অন্যায্য নয় বলে মনে করছেন উৎপাদকরা। আর তাই তো বছরের পর বছর তার চাহিদাও এতটুকু কমেনি। খোদ আফগানিস্তান থেকে এসেছিল এই প্রজাতি। ভারতের নানা জায়গায় গাছ লাগানো হয়েছিল সুলতানি যুগে। তবে শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার বাইরে কোথাও বাঁচেনি এই আম। আর এই আমের চেহারা দেখলেই যে চেনা যায়। এক একটি আমের দৈর্ঘ্য এক ফুটের কম নয়। ওজনেও ২.৫ থেকে ৩ কেজি। তাহলেই ভেবে দেখুন, এমন দুর্লভ ফলের জন্য এটুকু তো খরচ করাই যায়।

আলিরাজপুর জেলার অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি এই নূর-জাহান আমের চাষ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে তার ব্যবসা যথেষ্ট মার খেয়েছে। গতবছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়নি। কোনো আমই ২ কেজির বেশি ওজনের হয়নি। তার সঙ্গে লকডাউনের কারণে বেশ খানিকটা দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছিল উৎপাদকদের। তবে এবছর আবহাওয়া বেশ অনুকূল। এক একটি আম যেমন পুষ্টি পেয়েছে, তেমনই এক একটি গাছে প্রায় ২৫০টি ফল ধরেছে। যদিও এর পরেও ব্যবসায় তেমন লাভের মুখ দেখছেন না বলেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে এক একটি আম অন্তত ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অথচ এবছর ফলের ওজন বাড়লেও দাম কমেছে। গড়ে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও কেউ কেউ ৫০০ টাকাতেও ফল বিক্রিতে বাধ্য হয়েছেন। তার মধ্যে অতিমারীর কারণে অনেকেই হোম-ডেলিভারির সুযোগ খুঁজছেন। সমস্ত উৎপাদকের পক্ষে হোম-ডেলিভারি দেওয়া মতো পরিকাঠামোও নেই। তবু কম লাভে হলেও সমস্ত আম বিক্রি করা গিয়েছে মাত্র এক মাসের মধ্যেই। গতবছরের চেয়ে এবছর আয় অনেকটাই বেড়েছে। তাই সব মিলিয়ে খুশি আলিরাজপুরের মানুষ।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ডোজপ্রতি ৬০০ টাকা! ভারতে কোভিশিল্ডের দামে লজ্জা পাবে প্রথম বিশ্বও