বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে থমকে আছে পৃথিবী। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি থমকে নেই। বরং নতুন উদ্যমে চলছে নানা বৈপ্লবিক পরিকল্পনা। আর এর মধ্যে অর্ধ-শতাব্দী পর আবারও চাঁদের বুকে মানুষের অভিযানের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে নাসা। তবে এবার মানুষ সঙ্গে নিয়ে যাবে বিশ শতকের প্রযুক্তির জগতে সবচেয়ে বড় আবিষ্কারটিকেও সঙ্গে নিয়ে যাবে। আর সেই আবিষ্কার হল বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থা। অর্থাৎ, মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন। আর এর জন্যই চাঁদের বুকেও তৈরি হতে চলেছে ৪জি নেটওয়ার্ক।
সম্প্রতি নাসার কর্ণধার জিম ব্রিডনস্টাইন জানিয়েছেন এই কাজের জন্য ১৪.১ মিলিয়ন ডলারের বরাত দেওয়া হয়েছে নোকিয়া কোম্পানিকে। নাসার চাঁদের বুকে আধুনিকীকরণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৩৭০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যেই হবে এই প্রকল্প। আসলে এবারের আর্টেমিস মিশন শুধু চাঁদের মাটিতে মানুষের পদসঞ্চার ঘটিয়েই শেষ হবে না, বরং ঘুরে দেখবে চাঁদের নানা প্রান্ত। আর তাই একের পর এক রোভারের মধ্যে যোগাযোগ রাখবে ৪জি প্রজুক্তিই। ভাবতে সত্যিই আশ্চর্য লাগে।
অবশ্য চাঁদে ৪জি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজে এই প্রথম হাত দিচ্ছে না নোকিয়া। এর আগে ২০১৮ সালে জার্মানির একটি বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার জন্যই একইরকম দায়িত্ব নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। আর সেবারে এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল ভোডাফোন কোম্পানিও। সেবারে যদিও শেষ পর্যন্ত প্রকল্প বাতিল করা হয়েছিল। তবে গবেষণার কাজ তখনই অনেকটা এগিয়ে যায়। আর তাই এবারে শুধু কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা। হয়তো পৃথিবী আর চাঁদের মধ্যে যোগাযোগও রাখবে এই প্রযুক্তিই।
Powered by Froala Editor