অজস্র সতর্কতার পরেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছিল, বিমানে যাতায়াত কতটা নিরাপদ মহামারীর আবহে? তা বাড়তি সংক্রমণের সম্ভাবনা ডেকে আনছে কি? এই আতঙ্কেই অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলেও বিমানের টিকিট বুকিংয়ে কিঞ্চিৎ সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠছে বিমানের মাঝের সিটগুলি খালি না রাখার ব্যাপারেও। তবে বাস্তব ঘটনা এর থেকে একেবারেই আলাদা, জানাল জার্মান সংস্থাটি। গবেষণায় বলা হয়েছে, বিমানের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তার সঙ্গে মাস্কের ব্যবহার আরও কমিয়ে আনতে পারে সংক্রমণকে।
গত মার্চে ইজরায়েল থেকে জার্মানিগামী একটি বিমানে করোনার সংক্রমণের ঘটনা হয়েছিল। ওই বিমানে মোট ১০২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪ জনের একটি পর্যটক দলও উপস্থিত ছিল। প্রত্যেকেই আক্রান্ত ছিলেন করোনা ভাইরাসে। ব্যবহার করেননি মাস্ক-ও। ব্যাপারটা সামনে আসতেই ওই আক্রান্তদের আসনের আগের ও পরের দু’টি করে আসনের যাত্রীদের খোঁজ নেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের চিহ্নিতকরণ করে পরীক্ষা করলে দেখা যায়, সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ৭ জন।
কারণ খুঁজতে গিয়েই বিজ্ঞানীরা দেখেন বিমানের মধ্যে হাওয়ার পরিচলনের জন্য সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে বিমানে। এয়ারক্রাফটের ভিতর উপর থেকে নিচের দিকে হাওয়ার প্রবাহ হওয়ায় ভাইরাস সামনে বা পিছনে সংক্রমিত হতে পারে না। তবে বিমানকর্মীদের থেকে এবং অবতরণের সময় যাত্রীদের লাইনের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেক্ষেত্রেও মাস্কের ব্যবহার সুরক্ষা দিতে পারে যাত্রীদের। ইজরায়েলের ঘটনাটি ছাড়াও বেশ কয়েকটি উদাহরণের ওপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞানীদের এই মতামত। তবে এরপরেও বিস্তারিত গবেষণা দরকার বলে জানাচ্ছেন তাঁরা...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বায়ুদূষণের সঙ্গে প্রতক্ষ যোগাযোগ রয়েছে করোনা সংক্রমণের, জানাল গবেষণা