একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর। চিন থেকে গত ডিসেম্বরেই ছড়িয়ে পড়েছিল সার্স কোভ-২ বা নোভেল করোনা ভাইরাস। এখন সেই মারণ ভাইরাসের ঠেলা সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে গোটা পৃথিবী। আর তার মধ্যেই নতুন ভাইরাসের খোঁজ দিলেন সেই চিনেরই বিজ্ঞানীরা। যার মধ্যেও রয়েছে অতিমারী তৈরির ক্ষমতা।
চাইনিজ ইউনিভার্সিটি এবং চায়না সেন্টার অফ ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শূকরের দেহে উপস্থিত ভাইরাসের অস্তিত্ব জানতে গবেষণা করছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল অবধি সংগ্রহ করেছিলেব প্রায় হাজার তিরিশ পালিত শূকরের লালারসের নমুনা। সেখান থেকেই সামনে উঠে আসে ১৭৯টি নতুন সোয়াইন-ফ্লু ভাইরাস। যার মধ্যে রয়েছে জি-ফোর (G-4) নামক একটি ভাইরাস। ভয়ঙ্কর রকমের সংক্রমক এই ভাইরাসের ক্ষমতা রয়েছে অতিমারী তৈরি করার।
সম্প্রতি এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা পিএনএএস-এ। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সোয়াইন-ফ্লু ভাইরাস এইচ-১-এন-১ এর সংক্রমণ হয়েছিল। যা অতিমারীর আকার ধারণ করেছিল। নতুন আবিষ্কৃত এই ভাইরাসটিও সেই গোত্রেরই। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ দুর্বলই। ফলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ভবিষ্যতে নতুন নরকোদগমের।
জি-ফোর ভাইরাসটি কেবল পশুর মধ্যেই না, পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরেও সংক্রমিত হতে পারে। তবে মানুষের থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায় কিনা, তার এখনও কোনো প্রমাণ মেলেনি। হলেও, অজানা তার সংক্রমণের পরিধি। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন উদ্যোমে গবেষণা। অশনি-সংকেতের জন্যই শুরু হয়েছে আগাম প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন
শক্তি হারাচ্ছে করোনা, টিকা ছাড়াই শেষ হবে মহামারী; দাবি ইতালির গবেষকের
Powered by Froala Editor