করোনাকালে একটি শব্দ ছড়িয়ে পড়েছিল ভাইরাসের মতোই। আর তা হল ইমিউনিটি। সবাই বিশ্বাস করেছিলেন, ইমিউনিটি বেশি হলে ভাইরাস ক্ষতি করতে পারবে না। আর কে না জানে, ইমিউনিটি বাড়াতে ভিটামিন ডি-এর থেকে উপকারী আর কিছুই হতে পারে না। সান-বাথ বা সূর্য-স্নানের তো হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর আদৌ কোনো সম্পর্কই নেই। অন্তত একসঙ্গে দুটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন ডি করোনা সংক্রমণ রুখতে কোনো ভূমিকাই রাখছে না।
দুটি পৃথক গবেষণার ক্ষেত্রেই প্রায় এক লাখ মানুষের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। আর দুটি ক্ষেত্রেই গড় ভিটামিন ডি প্রয়োগ না করে দেখা হয়েছে কার শরীরে ভিটামিনের কতটা আধিক্য বা স্বল্পতা। এই পদ্ধতিতে আরও নিখুঁত তথ্য জানা সম্ভব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রিসের অ্যারিস্টটল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, ভিটামিন ডি-এর উপকারীতা একরকম মিথের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। মানুষের শরীরে প্রতিটা ভিটামিনেরই প্রয়োজন আছে। কিন্তু ভিটামিন ডি সর্বরোগহর, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গবেষকদেরও দাবি তেমনই। তাঁদের কথায়, বিজ্ঞানীরা শুধুই তথ্যের উপরে ভরসা করেন। আপাতত এমন কোনো তথ্য হাতে নেই যাতে বলা যায় ভিটামিন ডি করোনা আটকাতে পারে। যদি কেউ তেমন তথ্য হাজির করতে পারেন তাহলে অবশ্যই মেনে নেওয়া হবে। মূলত শিশু ও বৃদ্ধদের উপরেই করোনা অতিমারীর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল সবচেয়ে বেশি। আর এই দুই সময়েই শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতা দেখা যায়। মূলত সেই কারণেই এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু অতিমারীর একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে বোঝা গেল, সেই মূলগত ধারণার পিছনেই ভুল ছিল।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে মাছ খান