অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব অঞ্চলেই দেখা মেলে তাদের। শুধুমাত্র অরণ্যেই নয়, জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও মাঝে মধ্যেই ঢুকে পড়ে ক্যাঙ্গারুরা। মানুষের সঙ্গে তাদের অবস্থানগত বিরোধ নেই বললেই চলে। এমনকি ক্যাঙ্গারুর সঙ্গে কুকুরের খেলা করার মতো দৃশ্যও বারবার দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ায়। তবে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন গবেষকরা। এই সকল ঘটনা যে সমাপতন, তা একেবারেই নয়। সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবেই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অস্ট্রেলিয়ার এই জাতীয় পশু। এমনই অদ্ভুত ক্ষমতার কথা জানাল সাম্প্রতিক গবেষণা।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডনের রোহাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল সম্প্রতি চালিয়েছিল এই গবেষণা। গবেষকরা বেশ কিছু ক্যাঙ্গারুকে খাঁচায় বন্দি রেখে একটি পরীক্ষা করেছিলেন। প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রেখে তা খাঁচার সামনে রেখে দিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর একে একে তা উপস্থাপন করেছিলেন ক্যাঙ্গারুগুলির সামনে আলাদা আলদাভাবে।
গবেষকরা জানান, ১০টির মধ্যে ১১টি ক্যাঙ্গারুই সাড়া দিয়েছে এই পরীক্ষায়। বাক্সটিকে বারবার আঁচড়ে খাঁচার প্রান্ত দাঁড়িয়ে থাকা পরীক্ষকের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছে তাঁরা। যার মধ্যে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে সংবেদনশীল আচরন। প্রতিটি ক্যাঙ্গারুর ভাবভঙ্গীতেই প্রকাশ পেয়েছে তারা সাহায্যপ্রার্থী পরীক্ষকের থেকে। সিডিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আলেকজান্দ্রা গ্রিন নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এই ঘটনায়।
তিনি জানান, কুকুর বা বিড়ালের মধ্যে এই ধরণের প্রবৃত্তি দেখা যায়। তবে গৃহপালিত পশু হওয়ার কারণেই এই ধরণের আচরণ তাদের। তবে বন্যপ্রাণীদের ক্ষেত্রে মন মনোভাব এক কথায় বিরলই। এপ এবং ডলফিনের পর এই ধরণের বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতি ক্যাঙ্গারুদের মধ্যে দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা। ক্যাঙ্গারুর জটিল কগনিটিভ স্নায়ুগঠন নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করা হবে আগামীতে। এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা...
Powered by Froala Editor