ঘুমের মধ্যে হোক, বা জেগে— সর্বক্ষণই আমাদের ব্যতিব্যস্ত করছে মশারা। তাদের না মেরে তো উপায়ও নেই। কেউ বা আটকে রাখছেন মশারি, নেট ব্যবহার করে। কিন্তু জেনে বুঝে কেউ মশার চাষ করছে শুনেছেন কখনও? অবাস্তব মনে হলেও, ঠিক এমনটাই ঘটছে সিঙ্গাপুরে। সেখানে রীতিমতো ল্যাবরেটরিতে মশা চাষ করা হয়!
না শখ করে নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। ডেঙ্গু— এতদিনে কলকাতাবাসী ভালোভাবেই অভ্যস্থ হয়ে গেছে এই নামটির সঙ্গে। এডিস মশার কামড়ে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মারাও গেছেন অনেকে। এই সমস্যা শুরু বাংলায় নয়, সিঙ্গাপুরেও। ওখানে প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন প্রচুর মানুষ, মারাও যান। সেই সমস্যা মোকাবিলায় এই অভিনব পন্থা নিয়েছে সিঙ্গাপুর।
ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এজেন্সির অধীনে ‘প্রজেক্ট উলবাচিয়া’ নামের এই বিশেষ প্রজেক্ট শুরু করেছে সিঙ্গাপুর। এখানে ল্যাবরেটরি এবং বিশেষ কারখানায় পুরুষ উলবাচিয়া-এডিস মশার উৎপাদন করা হয়। তারপর বিপুল সংখ্যায় এদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর বিশেষত্ব কী? যখনই এই পুরুষ উলবাচিয়া-এডিস মশার সঙ্গে একটি সাধারণ এডিস মশকীর মিলন হবে, তখন মশকী কোনোভাবেই আর ডিম পাড়তে পারবে না। সন্তান উৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে যাবে তার। ফলে তার বংশবৃদ্ধি আটকানো যাবে। যার ফলে রাশ টানা যাবে ডেঙ্গুতেও।
ডেঙ্গু রুখতে মশার বংশবিস্তার আটকানোর কথা সব জায়গাতেই তো শোনা যায়। কিন্তু তার এমন অভিনব উপায় আগে শুনেছেন?