ভারতে যখন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল সাড়ে ছ’ লক্ষ। তখন একদিনে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড হল পশ্চিমবঙ্গে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের টেস্ট পজিটিভ এল ৭৪৩ জনের। গত কয়েকদিন আগেই ছ’শোর গণ্ডি পেরলেও, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছিল। এবার এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। এদিন মারা গেলেন ১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯৫ জন মানুষ। যা এদিন আক্রান্তের সংখ্যা থেকে বেশ খানিকটা কম। তবে রাজ্যে সামগ্রিকভাবে সুস্থতার হার আরও খানিকটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬.৭ শতাংশে। যা দেশের গড় সুস্থতার হারের থেকে খানিকটা হলেও বেশি।
তবে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে বাড়ছে তাতেই চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছে মোট ৫৮০টির মতো কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। করোনা সন্দেহে সেখানে রয়েছেন প্রায় ছ’হাজার মানুষ। এছাড়াও অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে দিন কাটাচ্ছেন গৃহবন্দি হয়ে। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই বাড়ানো হতে পারে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যাও। সংক্রমিতদের দ্রুত চিহ্নিতকরণের জন্য বাড়ানো হয়েছে টেস্টের সংখ্যাও। এখন রাজ্যে যার সংখ্যা দিনে ১১ হাজার।
এদিন সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ হাজার ২৩১। অন্যদিকে দেশেও দৈনিক আক্রান্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হল। একদিনে আক্রান্ত হলেন ২২ হাজার ৭০০ মানুষ। এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে।
আরও পড়ুন
সংক্রমণ বাড়লেও কমছে মারণ ক্ষমতা, করোনার নতুন মিউটেশন প্রসঙ্গে মত গবেষকদের
তবে তারপরেও সচেতন হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই বেরিয়ে পড়ছেন পথে। এর প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই রাজ্য এবার কঠোর করতে চলেছে নিয়মবিধি। জানানো হয়েছে, মাস্ক না পরলে আইনত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে সকলের প্রতি। রাজ্য তথা দেশ জুড়ে যেখানে করোনা এবং অর্থনীতি দুইয়ের দড়ি টানাটানি খেলা চলছে, তখন ন্যূনতম এই সচেতনাটুকুর আবেদন জানাচ্ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন
করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে বাংলাদেশ, দাবি গ্লোব বায়োটেকের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নার্স হোচিমিন, বাংলাদেশের ট্রান্সজেন্ডার আন্দোলনের অন্যতম মুখও তিনিই