বারো মাসই অগ্ন্যুৎপাত চলছে সেখানে। বড়োসড়ো আগ্নেয় বিস্ফোরণ ঘটেনি ঠিকই, কিন্তু নিয়মিতভাবেই নির্গত হয়ে চলেছে দূষিত গ্যাস, লাভা। আন্দামানের নারকোন্ডাম দ্বীপ। এবার সেখান সন্ধান মিলল অজানা স্তন্যপায়ী প্রাণীর। দেখতে অনেকটা ইঁদুরের মতো হলেও এই নতুন প্রজাতি আসলে ক্রোসিডুরা গোত্রের প্রাণী। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভারতের বুকে নতুন স্তন্যপায়ী হদিশ পেয়ে উচ্ছ্বসিত গবেষকরাও।
নারকোন্ডাম দ্বীপের জীববৈচিত্র এবং সেখানকার প্রাণীদের পরিসংখ্যান নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই গবেষণা চালাচ্ছিলেন জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষকরা। সেই গবেষণা চলাকালীনই এই প্রাণীটির সন্ধান পান গবেষকরা। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি একেবারেই নতুন একটি প্রজাতি। নারকোন্ডাম দ্বীপের নামানুসারেই এই প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ক্রোসিডুরা নারকোন্ডামিকা’। সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র।
ক্যানাইন থাকলেও পতঙ্গভুক এই নতুন প্রজাতির ক্রোসিডুরা। নারকোন্ডামে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অন্যতম রক্ষাকর্তা এই প্রাণী। এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। ধূসর বর্ণের এই প্রাণীটির বসবাস মূলত মাটিতেই। জুলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী আন্দামানের এই দ্বীপে এই প্রজাতির মাত্র ৪২২টি প্রাণী টিকে রয়েছে বর্তমানে।
গোটা বিশ্বে সব মিলিয়ে ১৯৮টি প্রজাতি রয়েছে এই প্রাণীর। যার মধ্যে ১৯টিই আবিষ্কৃত হয়েছে বিগত দুই দশকে। সামান্য জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের ফারাকের জন্যই প্রজাতিগুলিকে পৃথক করা বেশ কষ্টসাধ্য বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। পাশাপাশি নারকোন্ডামের প্রাকৃতিক অবস্থার কারণেও এতদিন সামনে আসেনি এই প্রজাতি। তবে ভারতে ক্রোসিডুরা নতুন নয়। এর আগেও ১১টি প্রজাতির ক্রোসিডুরা পাওয়া গিয়েছিল ভারতে। এবার সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১২-তে। উল্লেখ্য, ৪৩ বছর আগে ১৯৭৮ সালে ভারতের বুকে শেষ পাওয়া স্তন্যপায়ীটিও ছিল ক্রোসিডুরা। সেটিও পাওয়া গিয়েছিল আন্দামানেই…
আরও পড়ুন
লিটল আন্দামানে পর্যটন শিল্পে ‘উন্নয়ন’, বিপন্ন বৃহত্তম কচ্ছপ প্রজাতি
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কালিম্পং-এ আবিষ্কৃত নতুন ফড়িং প্রজাতি, নামকরণ বাঙালি পরিবেশবিদের নামে