সাম্প্রতিক সময়ে বারবার উঠে এসেছে অভিবাসী বা শরণার্থী সমস্যার কথা। একদিকে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি এবং আরবের বিরুদ্ধে শরণার্থীদের আশ্রয় না দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ভারত। অন্যদিকে একই বিষয়ে বারবার সমস্যায় পড়েছে ভারত সরকারও। আর ঠিক এই সময়েই প্রকাশিত হল মাইগ্রেন্ট ইন্টিগ্রেশন পলিসি ইনডেক্সের পঞ্চম সংস্করণ। আর গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত এই আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
বিগত ৫ বছর ধরে পৃথিবীর নানা দেশে অভিবাসীদের সামাজিক অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরতে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে ব্রাসেলসের মাইগ্রেন্ট পলিসি বোর্ড এবং বার্সেলোনা সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশানাল অ্যাফেয়ার্স। প্রথম থেকেই ভারতের অবস্থান বেশ পিছনের দিকে থাকলেও এবছর তালিকায় থাকা ৫২টি দেশের মধ্যে একেবারে নিচে জায়গা পেল ভারত। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ভারতের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ২৪। বাকি সমস্ত দেশের গড় প্রাপ্ত নম্বর ৫০। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিবাসীদের ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতেও ব্যর্থ ভারত সরকার। কেবলমাত্র শিশুদের টিকাকরণের বিষয়টি ছাড়া তাঁরা আর কোনো পরিষেবাই পান না। উল্টোদিকে নানা ধরণের উৎপাদন ব্যবস্থায় অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ মানবসম্পদ হিসাবে ব্যবহার করে আসছে ভারতের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি।
রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, অভিবাসীদের মধ্যেও ধর্মীয় মেরুকরণের প্রভাব স্পষ্ট। এমনকি সরকারের নীতিতেও বারবার তাঁদের দেশের পক্ষে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করার প্রয়াস দেখা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গেই এসে যায় নাগরিকত্ব পুণর্বিন্যাস আইন সংক্রান্ত বিতর্কের কথাও। অভিবাসীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ ভারতের অর্থনীতিকেও বিপদের মুখে ফেলবে বলে সচেতন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক রিপোর্টে।
Powered by Froala Editor