হাসপাতালেই থাবা বসাচ্ছে নতুন রোগ, সমীক্ষায় চাঞ্চল্য

আপনার কাছের কেউ অসুস্থ, কোনো রিস্ক নেবেন না ভেবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলেন তাঁকে। প্রায় সুস্থ হয়ে গিয়েছেন তিনি, বাড়ি ফেরার সামান্যই বাকি, হঠাৎ আবার শরীর খারাপ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ল, নিউমোনিয়া। এই রোগটিই হসপিটাল অ্যাকুয়ার্ড ইনফেকশন(এইচএআই)। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কলকাতার হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া মোট রোগীদের ২ শতাংশ আক্রান্ত হন এইচএআই-তে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, আইসিইউ-তে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে এই শতাংশের হার তিন থেকে চারগুণ বেশি।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, নার্স ও কর্মচারীদের হাতের ছোঁয়া থেকেই ছড়িয়ে পড়ে নিউমোনিয়া, ইউটিআই(মূত্রনালি সংক্রমণ)-এর মতো রোগ। কিন্তু সংক্রমণ সারাতে গেলেও আরেক বাধা। মানুষ ওষুধের দোকানে গিয়ে একগাদা অ্যান্টিবায়োটিক কেনেন এবং খাযন। তাঁদের বেখেয়ালেই, অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে একটা সময় পর সেই ওষুধ তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, যার ফলে পরে চিকিৎসা আরো কঠিন হয়ে যায়। হসপিটাল ইনফেকশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে ডক্টর অরিন্দম কর জানান, অনেক ডাক্তার দু’বার না ভেবেই বেশি ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেন। সরকারি হাসপাতালগুলোয় কম দামে দেদার বিক্রি হয়ে চলেছে এই ওষুধগুলি।

হাসপাতাল থেকে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ আটকানোর জন্য, মানুষের নিজেদের পরিচ্ছন্নতার দিকে আলাদা করে যত্ন নেওয়া ছাড়াও, অ্যান্টিবায়োটিক সেবন সম্পর্কেও আরও সচেতন হওয়া উচিৎ।  

Latest News See More