ব্রিটিশদের সঙ্গে কলকাতা বা ভারতের সেই কবে থেকে ‘মধুর’ সম্পর্ক। সেই সূত্রে তাঁদের রাজধানী লন্ডনও আমাদের কাছে অত্যন্ত আপন! সেই কত পুরনো সময় থেকে লন্ডন পৃথিবীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় করে নিয়েছে! কত পুরনো? এই প্রশ্নটাতে এসেই এখন থামবেন ঐতিহাসিকরা। কারণ, এই শুরুর সময়টা বারবার বদলে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে পাওয়া নতুন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্র এই সময়টাকে আরও পিছিয়ে নিয়ে গেল। তাঁদের মতে, যা ভাবা হয়েছিল, লন্ডনের অস্তিত্ব তার থেকেও অনেক পুরনো!
লন্ডন শহরের সামান্য উত্তরেই ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা খুঁজে পেয়েছেন একটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ। আপাতত প্রাথমিক ধারণা, এটি কোনো অনুষ্ঠানের জায়গা ছিল। এছাড়াও লন্ডনের নানা জায়গা থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই জায়গার প্রাচীনত্বকেই প্রমাণ করে। কিন্তু সেটা কত ‘প্রাচীন’? প্রথমে মনে করা হত, রোমান সাম্রাজ্যের সময় লন্ডনের উৎপত্তি। সেটা আনুমানিক প্রথম শতাব্দী। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই সময়টাও পিছনে সরে যেতে থাকে। সম্প্রতি যে নিদর্শন পাওয়া গেছে, সেটিকে পরীক্ষা করে ঐতিহাসিকরা বলছেন, খ্রিস্টপূর্ব ৩৬ শতক থেকেই এর অস্তিত্ব ছিল! এখানে মানুষের যাতায়াত ছিল! যা ইতিহাসকে এক ধাক্কায় আরও পেছনে পাঠিয়ে দিল।
গবেষণা যে এখনও শেষ হয়নি, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁরা। রোমান সাম্রাজ্যের সময় একটি শহর হিসেবে লন্ডনের আত্মপ্রকাশ। কিন্তু তার আগে সেখানে মানুষের যাতায়াত থাকলেও কোনো স্থায়ী শহর বা গ্রাম গড়ে ওঠেনি। আশেপাশের স্থানীয় মানুষরা এখানে জড়ো হত উৎসব অনুষ্ঠানে। নতুন আবিষ্কৃত ধ্বংসাবশেষ সেই কথাই বলছে। ইতিহাস আরও কী কী আশ্চর্য নিয়ে হাজির হয় আমাদের সামনে, সেটাই দেখার।