তরুণ প্রজন্ম কোচিং শেষে বা অফিস থেকে ফিরেই ডুবে যাচ্ছে এক অতল দুনিয়ায়। কেউ কেউ ক্যাফেতেই দেখে নিচ্ছে পছন্দের এপিসোড, আবার কেউ কেউ রাত জেগে চেখে নিচ্ছে 'ইউ' এর থ্রিলটুকু। কিন্তু তারা কি টের পাচ্ছে, কীভাবে নিভৃতে সবাই দূষণ বাড়িয়ে চলছে না জেনেই?
এর উত্তর পেতে গেলে আমাদের খুব সহজ একটা কারিগরিকে বুঝে নিতে হবে। কী সেটা? যতটা সম্ভব মনোরম ছবি পাবার আশায় আমরা বেছে নিচ্ছি যতটা সম্ভব বড় অতিকায় টেলিভিশন বা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিওয়ালা মোবাইল। সেক্ষেত্রে ছবির মানকে সর্বোত্তম করতে, স্ক্রিনের ইঞ্চি প্রতি হাই পিক্সেলের হাই ডেফিনেশন করতে হচ্ছে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে। সঙ্গে রয়েছে আরও একটি বিষয়। বড় ওয়েব সিরিজ বা শো-এর ক্ষেত্রে, বছরভর নিরবিচ্ছিন্ন স্ট্রিমিং বজায় রেখে অত্যাধিক বিদ্যুৎ খরচ করে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে ডেটা সেন্টারগুলি। যার জেরে ব্যাপক পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে মেশে।
যে হারে আমাজন প্রাইম, নেটফ্লিক্সের মতো ওয়েব দৈত্য ঢেকে নিচ্ছে এই প্রজন্মকে, তাতে এই দূষণ কোথায় পৌঁছোবে জানা নেই। সমীক্ষা বলছে, ২০১৭-২০২২ সালের মধ্যে এই ভিডিও স্ট্রিমিং এর পরিমাণ প্রায় ৪ গুণ বাড়বে এবং ২০২৩-এর শুরুতে ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৮০% ডেটাই এই ব্যবস্থাতে ব্যবহৃত হবে। খুব শিগগিরি এই দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছে পেল অ্যাপেল ও ডিজনির স্ট্রিমিং সার্ভিস, তখন কী হবে জানা নেই।