মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে প্রথম স্থানে দিল্লি, জানাচ্ছে এনসিআরবি-র রিপোর্ট

সারা দেশ উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল। ঠিক সেইসময়েই ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো প্রকাশ করল দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের খতিয়ান। সেই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছরের মতো ২০১৯ সালেও বেড়েছে অপরাধের সংখ্যা। আর সেইসঙ্গে অপরাধের চরিত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো। দেশের সমস্ত মেট্রোপলিটান শহরের তুলনায়, রাজধানী দিল্লি শহরে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

অন্যদিকে, রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই সবচেয়ে বেশি অপরাধের শিকার হয়েছেন মহিলারা। তবে আশ্চর্যের বিষয়, মেট্রোপলিটান শহরে মহিলাদের প্রতি বিদ্বেষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আর সারা দেশে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের ঘটনার এক তৃতীয়াংশই ঘটেছে ৭টি মেট্রোপলিটান শহরে। তার মধ্যেও ২৮ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে দিল্লি শহরে। এখানে ধর্ষণের সংখ্যা সারা বছরে ১২৩১। তার মধ্যে ৫ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা ঘটেছে ১১৫টি। এরপর আছে যথাক্রমে মুম্বাই এবং ব্যাঙ্গালোর।

পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সালের তুলনায় অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। কিন্তু তদন্ত বা বিচারবিভাগের আওতায় এরকম মামলার সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। বেড়েছে নারী অপহরণ এবং বাল্যবিবাহের সংখ্যাও। তবে এই দুটি বিষয়ে দিল্লিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে পাটনা শহর। আর ২০১৯ সালে সবচেয়ে নথিভুক্ত হয়েছে যে অপরাধ, তা হল সাইবার ক্রাইম। মহিলাদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং-এর পরিবর্তে সাইবার ক্রাইমের দিকেই ঝুঁকছে আধুনিক সমাজ। আর ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সেটা বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

সব মিলিয়ে বর্তমান সময়কে মোকাবিলা করার বিষয়ে রীতিমতো চিন্তিত প্রশাসন। এমনকি দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যেই। আর যেদেশে মহিলারা সুরক্ষিত নন, সেদেশের উন্নতি শেষ পর্যন্ত অলীক স্বপ্ন একথা তো আমরা সবাই জানি। শুধু জানি না এই সমস্যার শেষ কোথায়।

আরও পড়ুন
ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি কিংবা প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ - পৃথিবীর কিছু দেশে ধর্ষণের শাস্তি এমনই!

Powered by Froala Editor