২০১৬ সাল। অর্থাৎ আজ থেকে চার বছর আগের এক সকাল। নভি মুম্বাই পুলিশ স্টেশনে হাজির আগরওয়াল দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ শুনে প্রথমেই অবাক হয়ে যান পুলিশ অফিসার। এঁরা অভিযোগ আনতে চলেছেন একটি বিলাসবহুল নির্মাণপ্রকল্পের বিরুদ্ধে। আর সেই প্রকল্প ততদিনে সমস্ত ছাড়পত্রও পেয়ে গিয়েছে। তবু হাল ছেড়ে দেননি সুনীল এবং শ্রুতি আগরওয়াল। তাঁরা জানেন, প্রতি বছর বসন্তে যে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে এনআরআই ওয়েটল্যান্ডে, তাদের বাঁচাতে হবে।
আগরওয়াল দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০১৮ সালে নির্মাণ প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ বসায় মুম্বাই হাইকোর্ট। এখনও বন্ধ সব কাজ। প্রস্তাবিত প্রকল্পে ৮৮ হেক্টর জুড়ে তৈরি হবে একটি গলফ কোর্ট। বাকি এলাকায় থাকবে আবাসন। ফলে জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র যে বিঘ্নিত হবেই, তাতে সন্দেহ নেই। এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের পরিবেশ বিভাগের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। পরিবেশ বিভাগও বাস্তুতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছে। কিন্তু এর মধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে জটিলতা। নগরোন্নয়ন বোর্ডের দাবি, ওটি আসলে কোনো জলাভূমিই নয়।
প্রতি বছর এনআরআই ওয়েটল্যান্ডে এসে জড়ো হয় লক্ষ লক্ষ পাখি। এর মধ্যে ২০০টির বেশি বিপন্ন প্রজাতির পাখিও আছে। কিছুদূরের বাড়ি থেকে পাখিদের উড়ে বেড়ানো দেখেন আগরওয়াল দম্পতি। আর মুগ্ধ হয়ে যান। সেই দৃশ্যই কি হারিয়ে যাবে উন্নয়নের জাঁতাকলে? প্রাণ থাকতে এমনটা মেনে নিতে পারবেন না, জানিয়ে দিয়েছেন শ্রুতি আগরওয়াল।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আফ্রিকান জনগোষ্ঠী নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণা, ‘নেচার’-এ প্রকাশিত বাঙালি দম্পতির কাজ