আকাশে আতসবাজির খেলা, এক অতি প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যম। আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সারা পৃথিবীই তৈরি থাকে আতসবাজি হাতে নিয়ে। তবে এই তালিকাতেই এবার যোগ দিল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও। তবে সোড়া-গন্ধক মিশিয়ে তৈরি কোনো আতসবাজি নয়, নাসা এই নতুন বছরে উপহার দিল আকাশের বুকে প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি হওয়া এক আতসবাজির দৃশ্য।
নাসার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা ভিডিওটি কয়েক সেকেন্ডের হলেও আসলে পুরো প্রক্রিয়াটা ঘটতে সময় লেগেছিল ১৫০ বছরের বেশি। ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে। নাসার স্পেস টেলিস্কোপ হাবলের চোখে ধরা পড়েছে সেই প্রক্রিয়ারই শেষ পর্যায়ের কিছু ছবি। ভিডিওটির সঙ্গে নাসা এও জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ৭৫০০ আলোকবর্ষ দূরে এটা কারিনা নামের নক্ষত্রের মধ্যেই এমন বিস্ফোরণ দেখা গিয়েছিল। মহাকাশের ইতিহাসে এই ঘটনাকে গ্রেট ইরাপসন বলে উল্লেখ করা হয়। আজ থেকে ১৮০ বছর আগে, অর্থাৎ ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই নক্ষত্রটি হঠাৎ এত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে যে দক্ষিণ সমুদ্রের নাবিকরা দিক নির্ণয়ের জন্য এই তারাটির দিকে নজর রাখত। বেশ কয়েক দশক ধরে এটিই ছিল পৃথিবীর আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা। তবে তার বুকেই যে ঘটে চলেছিল আরও রহস্যময় ঘটনা, খালিচোখে তার হদিশ পাওয়া সত্যিই কঠিন।
২ জানুয়ারি নাসার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। নতুন বছরের শুভেচ্ছা হিসাবে একটু দেরিতে হলেও চমকপ্রদ বটেই। আর ইতিমধ্যে সারা পৃথিবী জুড়ে মানুষ ভিডিওটি দেখে মুগ্ধ। ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। সেইসঙ্গে নাসার পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে আরও নানা চমকপ্রদ ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। আর সময়মতো সাধারণ মানুষের সঙ্গেও সেসব ঘটনা ভাগ করে নেওয়া হবে। আপাতত আকাশবিলাসী মানুষ সেইসব চমকের অপেক্ষাতেই রয়েছেন।
Powered by Froala Editor