সন্দেহ ছিল ১৫ বছর আগে থেকেই। নাসার বিজ্ঞানীদের হাতে এবার এসে পৌঁছলো অকাট্য প্রমাণ। শনিগ্রহের কৃত্রিম উপগ্রহ কাসিনি তুলে দিল এইসব প্রমাণ। আর তাতে দেখা গেল শনির উপগ্রহ টাইটানের বুকেও আছে আগ্নেয়গিরি। অবশ্য আগ্নেয়গিরি বলতে যদি মাটির নিচ থেকে গলিত ম্যাগমার উদ্গারপথ বোঝায়, তাহলে একটু বুঝতে ভুল হবে। টাইটানের বুকে যে অগ্ন্যুদগার হয় তা আসলে জল, মিথেন এবং আরও অন্যান্য পদার্থের একটা মিশ্রণ। আর এই মিশ্রণ উত্তপ্ত অবস্থায় নয়, বরং বেরিয়ে আসে শীতল এবং ঘনীভূত অবস্থায়। বিজ্ঞানীরা তাই একে শীতল অগ্ন্যুদ্গার বলে উল্লেখ করেছেন।
টাইটানের ভূপ্রকৃতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসুবিধায় পড়তে হত বিজ্ঞানীদের। একমাত্র কোনো নিয়মিত অগ্ন্যুদ্গারের ঘটনা দিয়েই সম্পূর্ণটা ব্যাখ্যা করা সম্ভব ছিল। কিন্তু এই ধারণার পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির ছিল না। আর তাই টাইটানের মাটিতে সরেজমিনে তদন্ত চালাল কাসিনি। ১৩ বছরের মহাকাশ জীবনে সম্ভবত এটিই তার শেষ অপারেশন। আর তার রিপোর্ট দেখে নাসার বিজ্ঞানীদের সমস্ত সংশয় ঘুচে গেল। সত্যিই টাইটানের বুকে আছে একাধিক অগ্নেয়গিরি, এবং সেগুলো আজও জীবন্ত।
কাসিনি উপগ্রহের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ জিওফিজিক্যাল রিসার্চ পত্রিকায়। আর এইসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সৌরজগতের বিভিন্ন উপগ্রহের মধ্যে মহাকর্ষ শক্তি ও সৌরশক্তির প্রভাব সম্পর্কিত নানা অজানা তথ্য জানা যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সেইসঙ্গে টাইটানে জলের উপস্থিতি সেখানে প্রাণের সম্ভবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দিনের পর দিন উধাও চাঁদ, অবশেষে মিলল ৯০০ বছরের রহস্যের সমাধান