আজ থেকে ঠিক ৫১ বছর আগে চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিল মানুষ। নীল আর্মস্ট্রং এবং এডুইন অলড্রিন। আর মাইকেল কলিন্স ছিলেন মহাকাশযান অ্যাপোলোর মধ্যেই। তবে এর মধ্যে আর কোনো মানুষ সেখানে পা রাখেননি। তবে আর মাত্র বছর চারেকের অপেক্ষা। চাঁদের মাটিতে আবার পা রাখতে চলেছে মানুষ। সেইসঙ্গে প্রথম কোনো মহিলার পা পড়বে চাঁদে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাসার চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। এবারের প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস। ২০৩০-এর মধ্যেই আর্টেমিস চাঁদে মানুষ নিয়ে যাবে একথা আগেই জানানো হয়েছিল। এবার তার আরও খুঁটিনাটি প্রকাশ করল নাসা।
ব্রিডেনস্টাইন আরও জানিয়েছেন, এবারে আর আগের মতো অল্প সময় থাকবে না মানুষ। এবার একটানা ৭ দিন ধরে চাঁদের বুকে নমুনা সংগ্রহ এবং অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এই মিশনের মাধ্যমে ক্রমশ মানুষ মঙ্গলের বুকে পা রাখার দিকেও এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি।
এই মিশনে চাঁদে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা যাবেন। যদিও তাঁদের কারোর পরিচয় এখনও খোলসা করেননি ব্রিডেনস্টাইন। তিনি জানিয়েছেন এখনও অনেকগুলি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর মানুষ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আর্টেমিসের চতুর্থ মিশনে মানুষ নিয়ে যাওয়া হবে। তার আগে ২০২১ সালেই সম্পন্ন হবে আর্টেমিস প্রথম মিশন। নাসার অত্যন্ত শক্তিশালী স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এবং মহাকাশযান ওরিয়নের সাহায্যে এই মিশন সম্পন্ন হবে।
এবারের মিশন যে শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে নয়, অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে; সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ব্রিডেনস্টাইন। তাছাড়া চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটা বেস ক্যাম্প তৈরি করার কথাও ভাবা হচ্ছে। আগামীদিনে সমস্ত চন্দ্রাভিযানের ক্ষেত্রে সেই বেসক্যাম্প কাজে লাগবে।
চাঁদের বুকে যে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তার হদিশ এখনও পায়নি মানুষ। মাত্র একবার মানুষের পা পড়ায় আগ্রহ মেটেনি এখনও। আসন্ন অভিযান সেই আগ্রহ অনেকটাই মেটাতে পারবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন
২০২১-এর শুরুতেই চাঁদে পাড়ি দিতে পারে চন্দ্রযান-৩
Powered by Froala Editor