বেশ কয়েক মাস ধরেই আটল্যান্টিক মহাসাগরের উপর নজর রেখেছে নাসা। কারণ এখানেই পৃথিবীর চৌম্বক শক্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। আর নাসার সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে, সেই ফাটল ক্রমশ বড় হচ্ছে এবং পশ্চিম দিকে সরে আসছে। এমনকি এর মধ্যে দুটি বড় বড় ফাটল নজরে এসেছে গবেষকদের। সোমবার নাসা কর্তৃপক্ষের একটি ঘোষণায় এমন আশঙ্কার কথাই জানানো হয়েছে।
গবেষকদের দাবি, বিগত ২০০ বছর ধরে পৃথিবীর চৌম্বকীয় শক্তি কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। আর দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আটল্যান্টিকের মাঝে এই এলাকাটিতে গত ৫০ বছরেই আরও ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে চৌম্বক শক্তি ১৯৭০ সাল নাগাদ এই ফাটল বিজ্ঞানীদের নজরে আসে। তখন থেকেই নজর রাখা হচ্ছে এই সাউথ আটল্যান্টিক অ্যানোমিলি বা এসএএ-র উপর। কিন্তু সম্প্রতি তার চেহারা বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।
আরও পড়ুন
ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, সংকটে মানব সভ্যতা; চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
গবেষকদের অবশ্য ধারণা এই প্রক্রিয়া ঘটছে প্রাকৃতিক কারণেই। পৃথিবীর ভৌগলিক অক্ষ এবং চৌম্বক অক্ষের মধ্যে কৌণিক অবস্থানই অন্তর্গত লাভা স্রোতের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আর তার ফলেই চৌম্বক ক্ষেত্রে ফাটল দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর এই চৌম্বক শক্তি বা জিও-ম্যাগনেটিক ফিল্ড আমাদের সৌরবিকিরণ বা মহাজাগতিক রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হয়ে পড়লে এই সমস্ত বিকিরণের প্রভাব এসে পড়বে জীবজগতের উপর। এই সংকট মোকাবিলার উপায় কী, সেকথা জানেন না কেউই।
আরও পড়ুন
৪০০ কোটি বছর আগে, পৃথিবীর চেয়েও শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ছিল চাঁদের!
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বদলাচ্ছে অবস্থান, উত্তর মেরুর চৌম্বক ক্ষেত্র সরে যাচ্ছে রাশিয়ার দিকে