২৬ অক্টোবর। নাসার যুগান্তকারী আবিষ্কার পুরোপুরি বদলে দিল চাঁদের ব্যাপারে আমাদের ধারণা। শুষ্ক চাঁদের সূর্যালোকিত অঞ্চলেও রয়েছে জলের অস্তিত্ব। পৃথিবীর অন্যতম মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই আবিষ্কারে রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে বিজ্ঞান মহলে। শুধু বিজ্ঞান মহল কেন? সাধারণ মানুষেরও চাঁদ নিয়ে তো আগ্রহের অন্ত নেই। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও ছড়াল এই সুসংবাদ।
এর আগেই অবশ্য ২০১৮ সালে ইসরোর চন্দ্রযান-১ ও নাসার রিকনসায়েন্সের তথ্য জানিয়েছিল, চাঁদের পৃষ্ঠতলে সর্বত্রই জলের অস্তিত্ব থাকতে পারে। তবে নিশ্চিত করা বলার মতো প্রমাণ ছিল না হাতে। বছর দুয়েকের মধ্যে নাসা সেই সম্ভাবনাকেই সমর্থন জানাল এবার। নাসার সোফিয়া অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড অ্যাসট্রোনমি থেকে সোমবার বিকালেই নিশ্চিত করা হয় এই সংবাদ।
আগে ধারণা ছিল, শুধু চাঁদের মেরু অঞ্চলেই জমাট বেঁধে আছে কয়েক টন জল। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা জানাল, আগে যা অনুমান করা হত তার থেকেই ২০ শতাংশ বেশি জল রয়েছে চাঁদে। অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীর অঞ্চলগুলিতে তো বটেই, চাঁদের সূর্যালোকিত অঞ্চলেও রয়েছে জলের উপস্থিতি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ২১ কিলোমিটার বিস্তৃত শ্যাকেলটন ক্র্যাটারে জলের সন্ধান পেয়েছে সোফিয়া। চাঁদের বৃহত্তম গহ্বর ক্লোভিয়াস ক্র্যাটারেও রয়েছে জল।
তবে এই জলের উৎস আসলে কী, তা জানতে হলে দরকার সামনে থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং তার বিশ্লেষণ। ২০২৪-এই চন্দ্র অভিযানে মানুষ পাঠাতে চলেছে নাসা। আর সেই অভিযানে যে আরও অনেক রহস্যেরই সমাধান মিলবে, তা বলাই বাহুল্য। চাঁদে উপস্থিত জল দিয়েই মহাকাশযান চালানো কিংবা নভোশ্চরদের পানীয় হিসাবে তা ব্যবহার্য কিনা পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। বলা যায় না, কিছুদিনের মধ্যে হয়তো একমাত্র উপগ্রহেও তৈরি হতে পারে কলোনি...
Powered by Froala Editor