একের পর এক বড়ো বড়ো উল্কাখণ্ড এর মধ্যে পৃথিবীর একেবারে গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে। প্রতিবারই মানুষের মনের মধ্যে জমেছে আশঙ্কার মেঘ। এভাবেই কোনোদিন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে আপাতত তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। আশ্বস্ত করছে খোদ নাসা। সম্প্রতি নাসার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এমন কথাই জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
অত্যাধুনিক সমস্ত স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে এখন সৌরজগতের সমস্ত ঘটনাই বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়। আগামী ১০০ বছরের মধ্যে কী কী ঘটবে, তা বলে ফেলাও সহজ। শুধু অ্যাপোফিজ নামের অতিকায় উল্কাটি নিয়ে আশঙ্কা ছিল বিজ্ঞানীদের মধ্যেও। ১৯৬৮ সাল নাগাদ পৃথিবীর একদম কাছ দিয়ে যাবে এই উল্কা। তবে পৃথিবীর সঙ্গে কোনোরকম সংঘর্ষ ঘটবে কিনা, সেটা নিশ্চিত জানতেন না কেউই। অবশেষে দীর্ঘ ১৬ বছর গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হলেন, ৩০ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে যাবে অ্যাপোফিজ।
এর মধ্যে ২০২৯ এবং ২০৩৬ সালে আরও দুবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে অ্যাপোফিজ। তবে ৩৪০ মিটার ব্যাসের এই বিরাট উল্কাখণ্ড থেকে পৃথিবীর দূরত্ব তখন আরও বেশি থাকবে। একথা নাসা আগেই জানিয়েছিল। অবশেষে এটাও নিশ্চিত হওয়া গেল, ২০৬৮ সালেও কোনো দুর্ঘটনা ঘটার অবকাশ নেই। আর এর মধ্যে অন্য কোনো উল্কা থেকেও দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে জানিয়েছে নাসা।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি উল্কাকে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে। তাই মানুষের মধ্যে অযথা গুজব না ছড়াতেও অনুরোধ জানিয়েছে নাসা। যদিও সেইসঙ্গে নাসার বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, আগে উল্কাখণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বায়ুমণ্ডল যেমন প্রস্তুত ছিল, এখন তা অনেকটাই দুর্বল। পরিবেশ দূষণের কারণে একের পর এক ফাটল ধরছে ওজোন স্তরে। এই অবস্থায় কোনো বড়ো ধরণের উল্কা পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়লে বড়ো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে তেমন সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন
মঙ্গলে সংরক্ষিত রয়েছে ৩০-৯৯ শতাংশ জল, জানাল নাসার সাম্প্রতিক গবেষণা
Powered by Froala Editor