বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নেই বিদ্যুৎ, ঘর হারিয়েছেন বহু মানুষ – নদীয়া এখন এমনই

চারিদিকে ছড়িয়ে আছে ভাঙা ডাল, টাটকা তরতাজা গাছ। দোকানের আধখানা অংশ পড়ে রয়েছে জলে; বাকি অর্ধেকের হদিশ দিতে পারল না কেউ। লকডাউনের বাংলা এভাবেই ছারখার হয়ে আছে। সৌজন্যে আমফান। শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোন সুন্দরবন, দুই চব্বিশ পরগণাকে প্রায় গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি নদীয়ার একাধিক এলাকাও।

নদীয়া জেলা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ওপর দিয়েও বয়ে গেছে আমফান। যার ফলে রীতিমতো বিপর্যস্ত এই এলাকা। নদীয়ার কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, ফুলিয়া, নবদ্বীপ, মায়াপুর, রানাঘাট, কল্যাণী-সহ একাধিক এলাকা আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ও প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। নদীয়ার জেলা হাসপাতাল শক্তিনগরে গাছ ভেঙে যাওয়াতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের লোহার দরজা এবং লাইটপোস্টে ভেঙে গেছে। কৃষ্ণনগর, ফুলিয়া, শান্তিপুর, নবদ্বীপ-সহ বহু জায়গাতে এখনও পর্যন্ত আসেনি বিদ্যুৎ পরিষেবা।

কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা সঞ্চারী ভৌমিক প্রহরকে জানালেন, ‘ফুলিয়ার দিব্যডাঙা, ৫২ বিঘা অঞ্চল, কৃষ্ণনগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড প্রভৃতি অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত কারেন্ট আসেনি। ফুলিয়াতে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে, টিনের চাল উড়ে গেছে। এছাড়াও মাঠের ফসল নষ্ট হয়েছে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেও গাছ ভেঙে পড়েছে। গঙ্গা উপকূলবর্তী স্বরূপগঞ্জ এবং গঙ্গার ওপারে মায়াপুরেরও বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। যদিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সঠিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেওয়া কঠিন। বহু মানুষ মাথার ওপর ছাদ হারিয়েছেন। অনেকের শেষ সম্বলটুকুও উড়ে গেছে ঝড়ে। আমফানের মার এভাবেই বিধ্বস্ত করে রেখে দিলে আমাদের...’

অন্যদিকে, ফুলিয়ার দিব্যডাঙা অঞ্চলের বাসিন্দার রঞ্জন দাসের থেকে জানা গেল প্রায় দুদিন ওখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, ঝড়ে ভেঙে পড়েছে প্রচুর বাড়ি। 'আমফান' এর তাণ্ডব থেমে গেছে ঠিকই, কিন্তু থেকে গেছে আমফান-পরর্বতী পরিস্থিতিতে নদীয়া জেলার গৃহহীন মানুষগুলোর হাহাকার। নদীয়া ভালো নেই। অন্যান্য এলাকাও কি ভালো আছে খুব?